করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে গেল এবছরের গঙ্গাসাগর মেলা। এবারের গঙ্গাসাগরে এখনো পর্যন্ত সংক্রামিত কোন রোগীর খোঁজ মেলেনি। পাশাপাশি কোনো দুর্ঘটনার ঘটনা ও হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ১০০ এ ১০০ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। কয়েক মাস ধরে এই মেলাকে সফল করার জন্য জেলার নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। শুক্রবার এই সম্পূর্ণ কর্মকাণ্ডের উপরে যবনিকাপতন ঘটলো। মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গাসাগরে ভীড় বেশ ভালই ছিল। তবে বিকেল হতেই এই ভিড় খালি হয়ে যায়। এই বছরে সকাল ৬ টা পর্যন্ত পুণ্যস্নানের সময় রাখা ছিল। মেলা শেষ হতে না হতেই, সেখানে সমুদ্রতট সাফাই করতে নেমে পড়েন মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিন দেখা গেলোনা সমুদ্রতটে স্নান করতে যাওয়ার হুড়োহুড়ি। এদিন ছিল পুণ্যার্থীদের বাড়ি ফেরার তাড়া। তীর্থযাত্রীরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে হাঁটা শুরু করলেন সন্ধ্যে সন্ধ্যে নাগাদ। তবে একটা জায়গায় তীর্থ যাত্রীদের মধ্যে মিল দেখা গিয়েছে। সকলেই কিন্তু যাবার আগে বোতল, জার সহ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পাত্রে নিয়ে গেলেন গঙ্গার পবিত্র জল। কেউ কেউ আবার সমুদ্রকে একবারের মতো প্রণাম করে গেলেন।
সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতে নেমে পড়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। আবর্জনা সাফাই করে গঙ্গাসাগর কে আবার নিজের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য তারা কাজ করে চলেছেন। গঙ্গাসাগর মন্দির চত্বরে মেলাকে কেন্দ্র করে স্টল বসেছিল। কয়েকজন তীর্থযাত্রী থেকে যাওয়ার কারণে এদিন এই স্টল আবারো দেখা যায়। প্রতিকূলতার মধ্যে মেলার আয়োজন করা হলেও বেস্ট সুষ্ঠুভাবে নির্বিঘ্নেই শেষ হয়ে গেল এবছরের গঙ্গাসাগর মেলা। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) মেলা ভালো ভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে মেলা হবে এটাই ভাবা যায়নি। তাও যে এত ভালোভাবে মেলা সম্পন্ন করা গিয়েছে তার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে এবারে গঙ্গাসাগরের জন্য খরচ প্রায় দ্বিগুণ ছিল। ২০০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে গিয়েছে। পুরো টাকা রাজ্য সরকার তার তহবিল থেকে দিয়েছে। এবারের গঙ্গাসাগর মেলা দুনিয়ার কাছে পৌঁছে দেওয়া গেছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেছেন,” ৩১ দেশের মানুষ এই মেলায় এবং মন্দিরের পুজো করতে পেরেছেন।” মেলার সাফল্যের জন্য এদিন ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক বলেছেন, সবার সহযোগিতায় এই মেলা সাফল্যমন্ডিত হয়েছে।