আবারও গণধর্ষণ! ঘটনাস্থল ওড়িশার রাজধানী কটক। বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে যাওয়ার শাস্তি পেতে হল শরীর দিয়ে। জানা গিয়েছে ১৭ বছরের ওই তরুণী বাড়ি থেকে রাগ করে বেড়িয়ে আসার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে কটকের ওএমপি স্কোয়ারে বাড়ি ফেরার বাসের অপেক্ষা করছিল। আর তখনই এক অপরিচিত মোটর বাইক এর যুবক তাকে বাড়ি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
এরপর তাকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এক চৌলিয়াগঞ্জ অঞ্চলের এক বদ্ধ জায়গায়। সেখানে ২২ দিন ধরে একটি পোলট্রিতে আটকে রেখে লাগাতার গণধর্ষণের করা হয়। ওই তরুণী কটকের পাশের জেলা জগৎসিংপুরের ত্রিতল অঞ্চলের বাসিন্দা। এরপর এলাকার বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দেয়।
এরপরেই পুলিশ হানা দিতে এক জন ধরা পড়লেও অন্য জন চম্পট দেন। প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই নিয়ে এখন এমনিতেই সারা উত্তরপ্রদেশ তোলপাড়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
হাথরস নিয়ে প্রতিদিনই উঠে আসছে নানা তথ্য, এবার চার অভিযুক্ত ধর্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে। তাঁদের মতে ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণী। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।