চলতি অর্থবর্ষে ফের নামতে পারে দেশের জিডিপি। এক্ষেত্রে তা সংকুচিত হতে পারে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি কৃষি, শিল্প থেকে রফতানি সর্বক্ষেত্রেই মিলছে ইতিবাচক আশ্বাস। করোনা আবহে দেশে কড়া লকডাউন চলার ফলে গত কয়েক মাসে অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিলো।
হিসেব মতন দুই মাস পূর্ণ লকডাউন চললেও জুন মাস থেকেই এক এক করে খুলছে দোকান, বাজার কিন্তু তবুও ব্যবসার পরিসর আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে। অনেকের মতে আনলক হওয়ার ফলে এবার দেশের আর্থিক অবস্থার বেহাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কিন্তু তা হয়নি।
এমনকি গত তিন মাসে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমেছে ২৩.৯ শতাংশ। লকডাউন চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইটালির মতন দেশে জিডিপি পড়েছে ১২.৪ ও ৯.৫ শতাংশ। দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি খারাপ দিকের সম্মুখীন হয়েছেন দেশের আমজনতা। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরি চলে যাওয়া সব মিলিয়ে একটা চরম খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। করোনা আবহে আগের থেকে অনেকটাই কমেছে মানুষের কেনাকাটা।
এই খারাপ পরিস্থিতিতে আগের থেকে অনেকটাই সচেতন হয়েছে দেশের মানুষ। তাই আগের মতন দোকান বাজার খুললেও কোনোমতেই ঘুঁচবে না জিডিপির এই করুণ দশা। সব মিলিয়ে আবারও সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আপাতত এমনটাই মনে করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে দেশের মানুষদের কি হাল হবে বলা খুবই মুশকিল।