করোনার মাঝেই দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হিসেব মতন দুই মাস পূর্ণ লকডাউন চললেও জুন মাস থেকেই এক এক করে খুলছে দোকান, বাজার কিন্তু তবুও ব্যবসার পরিসর আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে। অনেকের মতে আনলক হওয়ার ফলে এবার দেশের আর্থিক অবস্থার বেহাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কিন্তু তা হয়নি।
আর এই অবস্থায় প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়ন নিজের মত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ঠিকঠাক রফতানি না হলে দেশের অর্থনীতির মুখ উজ্জ্বল হবে না, যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা ‘কনজাম্পশন’ বাড়লেই দেশের আয় বাড়ে। চলতি অর্থবর্ষে ফের নামতে পারে দেশের জিডিপি। এক্ষেত্রে তা সংকুচিত হতে পারে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। কিছুদিন আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত।
অন্য দিকে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি কৃষি, শিল্প থেকে রফতানি সর্বক্ষেত্রেই মিলছে ইতিবাচক আশ্বাস। করোনা আবহে দেশে কড়া লকডাউন চলার ফলে গত কয়েক মাসে অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিলো। এই খারাপ পরিস্থিতিতে আগের থেকে অনেকটাই সচেতন হয়েছে দেশের মানুষ। তাই আগের মতন দোকান বাজার খুললেও কোনোমতেই ঘুঁচবে না জিডিপির এই করুণ দশা।
২০০৩-০৮ এই পাঁচ বছরে ‘পাবলিক’ এবং ‘প্রাইভেট’ এই দুই ক্ষেত্র মিলিয়ে ভারতে ‘ডোমেস্টিক কনজাম্পশন’ যেখানে গড়ে ৭.২ শতাংশ, সেখানে শুধু ‘এক্সপোর্ট গ্রোথ’ই ১৭.৮ শতাংশ হয়েছে। সব মিলিয়ে আবারও সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আপাতত এমনটাই মনে করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে দেশের মানুষদের কি হাল হবে বলা খুবই মুশকিল।