মুম্বইয়ের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম আজ বলিউডের প্রথম সারির কোরিওগ্রাফারের গীতা কপূর। আজ বলিউডের এক নামি কোরিওগ্রাফারের মধ্যে একজন। তবে বলিউডে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য ছিল না কোনো বলিউডি কানেকশন ছিলনা নামি পরিবারের তকমা। নিজের নাচ আর ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করেই জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় গীতা মা।
১৫ বছর বয়সে গীতা যোগদান করেছিলেন ফারাহ খানের নাচের গ্রুপে। কলেজে পড়ার সময়েই গীতার কাছে আসতে বলিউডের ছোট ছোট কিছু চরিত্রের অফার। এরপর জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে পথ চলা শুরু। শ্রীদেবীর ‘খুদা গাওয়া’, অনিল কপূরের ‘নায়ক’ ছবিতে খুব ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে নাচের তালিমও নিচ্ছিলেন। এরপর ফারাহর জন্যই কুছ কুছ হোতা হ্যয় ছবির ‘তুঝে ইয়াদ না মেরি আয়ি’ গানটি কোরিওগ্রাফ করার সুযোগ পান গীতা। এতে হিট পাওয়ার পর ‘ম্যায় হু না’, ‘থোড়া প্যায়ার থোড়া ম্যাজিক’, ‘হে বেবি’-সহ বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থাগুলির ছবির ডান্স কোরিওগ্রাফ করার দায়িত্ব পান।
এরপর গীতার জার্নি শুরু হয় অনরুপে। ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এ বিচারক হিসেবে তিনি পর্দাপণ করেন। এরপর সিনেমার নাচের কোরিওগ্রাফির পাশাপাশি বিভিন্ন রিয়ালিটি শোয়ের মূল বিচারক। গীতার নাচের অ্যাকাডেমিতে একাধিক ছাত্র ছাত্রীকে যত্ন সহকারে নাচ শেখান, সেখান থেকেই তিনি হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় গীতা মা। তবে গীতা এখনো অবিবাহিত। তবে গীতার একটি ছবি নেট দুনিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কি আছে সেই ছবিতে?
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে গীতা মা টুকটুকে লাল গ্রাউন আর লাল ওড়না আর সুন্দর গহনা পড়ে ছবি তুলেছেন সাথে সাথে তিনি সিঁথিতে কিছুটা সিঁদুর আর লাল টিপ পড়েছেন। সিদুঁর মূলত এবিবাহিত মহিলার চিহ্ন হিসাবে দেখা হয়। এই ছবি শেয়ার হতেই অনুগামীদের প্রশ্ন তিনি কি লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে সারলেন? নাকি এটি কোনো বিশেষ ফটোশ্যুট। উত্তর না পাওয়া গেলেও তবে গীতার এই পোস্ট বেশ ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়াতে। বর্তমানে গীতা ঋত্বিক ধনজানি ও পরিতোষ ত্রিপাঠি দ্বারা পরিচালিত, সুপার ডান্সার ৪ এর বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।