রেশন পেতে গেলে অবশ্যই পরে যেতে হবে মাস্ক। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে জেলাশাসকের দপ্তরে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিনের বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, রেশন ডিলার, দোকানের কর্মী ও উপভোক্তাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে না চললে মিলবে না রেশন। রেশনের সঙ্গে যুক্ত সবাই নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলছে কিনা তা দেখার জন্য মোতায়েন করা হবে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, রেশন ব্যবস্থাপনায় বিশেষ আয়োজন করেছে পূর্ব বর্ধমান। প্রত্যেকটি রেশনের দোকানে ২ করে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নিয়োগ করেছে তারা। এলাকায় টহল দিচ্ছে স্থানীয় থানার পুলিশ। বেশ কয়েকটি রেশনের দোকানের দায়িত্বে একজন করে আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ব্যবস্থাপনা গোটা রাজ্যের কাছে মডেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
গণবন্টন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এদিন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। জেলার খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক ও সমস্ত রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে এই বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। ডিজিটাল কার্ড থাকলেই রেশন মিলবে বলে জানান তিনি। মাসে একবার চাল ও দু’বার গম দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।