নিউজপলিটিক্সরাজ্য

দ্রুত ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট পাঠান, রাজ্যকে কড়া চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, কিছু ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সব ঘটনা সত্যি নয়। এই ৩ মাস আমার হাতে ছিল না নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল, অত্যাচার হয়েছে

Advertisement

রাজ্যে চলছে ভোট পরবর্তী হিংসা, আর এই হিংসা বন্ধ করা নিয়ে এবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সরাসরি কড়া চিঠি দিল রাজ্য সরকারকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, হিংসার রিপোর্ট দ্রুত পাঠাতে হবেই। নাহলে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা বর্তমানে চরমে।

কিন্তু তার সাথে যেকোনো খবরকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো চলছে একই তালে। কিছুদিন আগেই নানুরে দুই বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গণ ধর্ষনের দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ অধিকর্তা এনএন ত্রিপাঠী। কিন্তু তা এখনো মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা। তাদের দাবি, বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা হচ্ছে, তাই এই হামলার রিপোর্ট পাঠাতে হবেই রাজ্যকে।

পিটিআই জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ এ কড়া হুঁশিয়ারি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট পাঠান না হলে বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চিঠি হিসেবে দাবি করে সৌগত রায় বলেছেন, “কে বলল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? ১১ টায় শপথ নিয়েছেন। এডিজি আইন-শৃঙ্খলা বদল করা হচ্ছে। মমতা দায়িত্ব নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, আর সব থেকে বড় কথা আইন-শৃঙ্খলা একটা রাজ্যের বিষয়। অমিত শাহের কোন কৌশল এখানে খাটবে না।”

কিন্তু বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আবার অভিযোগ করেছেন, এখনো পর্যন্ত ১৪ জন মারা গিয়েছেন। রাজ্যে গণহত্যা চলছে। ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত নিরব মমতা। এতে বোঝা যাচ্ছে ওদের মদত রয়েছে। রক্তরঞ্জিত হাত নিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। এই মৃত্যু-মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে জানিনা।” অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। সবকটা সত্য নয়। এখানে বিজেপি জিতেছে সেখানে বেশি অত্যাচার হচ্ছে। আর যখন অত্যাচার হয়েছিল তখন নির্বাচন কমিশন এর আওতায় ছিল। ৩ মাস পরে আমার হাতে এসেছে সমস্ত কিছু। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”

Related Articles

Back to top button