গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান যে, খুব শীঘ্রই করোনা পরবর্তী পর্যটন নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য তার নিজস্ব নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) তৈরি করবে। সাওয়ান্ত আরও বলেন যে, প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মুহূর্তে আন্তঃরাজ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘কোভিড-পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যকেও একটি এসওপির তৈরি করতে হবে। আর এ বিষয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
রাজ্য পর্যটন মন্ত্রক বর্তমানে এই রাজ্যটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে রূপ দেওয়ার কাজ করছে। কোভিড ১৯ জনিত লকডাউন পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পতনের প্রত্যাশা করে, রাজ্যটি পর্যটনের গুণগত মান বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করছে যা বৃহত্তর ক্ষেত্রের পর্যটকদের আগমনকে প্রভাবিত করতে পারে।
‘তৃতীয় দফার লকডাউনের পরে, বাস, ট্রেন ও বিমানের মাধ্যমে আন্তঃরাজ্য রুটগুলি চালু করা উচিত। তবে বিধিনিষেধের কারণে বেশ কিছু এলাকাকে পৃথক করা উচিত। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে তীব্র মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গোয়ার সঙ্গে রাজ্যগুলিকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। কারণ গোয়া একটি কোভিড-মুক্ত সবুজ অঞ্চল।’ বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথোপকথনের সময় সাওয়ান্ত প্রধানমন্ত্রীকেও রাজ্যে খনিগুলি পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গোয়া একটি করোনা ভাইরাস মুক্ত রাজ্য। এখনও অবধি সেই রাজ্যে সনাক্ত হওয়া সাতটি মামলার মধ্যে সবই নিরাময় হয়েছে। বর্তমানে গোয়ায় করোনা ভাইরাসের কোনও সক্রিয় কেস নেই। তাছাড়া এই রাজ্যে কোভিড ১৯-এর কারণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। উপকূলীয় এই রাজ্যের আয় পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। গোয়ার আয়ের ৪০ শতাংশ পর্যটন থেকে আসে। জানা গেছে, গোয়ার জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ পর্যটন নির্ভর। চলতি এই লকডাউনের কারণে রাজ্যটিতে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারে।