সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। সেদিন বিধানসভার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রাজ্যপালের খারাপ আচরণের জন্য অনেক কথাই হয়েছে। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাজ্যপাল জগদীশ ধনকড় পাল্টা টুইট করে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাথে মোটেই সৌজন্যতা দেখাননি। এদিন পরপর সাতটি টুইট করেন রাজ্যপাল। তাতে তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তার সাথে বিধানসভায় মোটেই ভালো ব্যবহার করেননি।
মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে তিনি হতভম্ব, এমনটাও বলেছেন রাজ্যপাল তার টুইটে। বুধবার সকালে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে করা হয় টুইট গুলি। তার প্রথম টুইটেই রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজভবনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের কোনো প্রতিনিধি এলেন না দেখে আমি অবাক হয়েছি।’ এরপর তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে একটি টুইট করেন।
তাতে লেখা ছিল, ‘কারও প্রতি সৌজন্য দেখানোর প্রশ্নে আমি কখনও আপোস করব না।’ মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা আচরণ, সৌজন্য প্রাপ্য তা তিনি পাননি বলে টুইটে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম’।
মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের ভাষণে খোঁচা দিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল তারই উত্তর এদিন টুইটের মাধ্যমে দেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে টুইট গুলো সামনে আসার পর থেকেই রাজ্যপালকে আক্রমণ শুরু করেন তৃণমূলের নেতারা।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের প্রয়োজনীয়তা কি সেটাই তো আমরা বুঝতে পারছিনা।’ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যপাল কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে পারেন না।’ আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে ভাষায় রাজ্যপাল একের পর এক টুইট করছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে কে কাকে অপমান করছেন।’ রাজ্য এবং রাজ্যপালের তরজায় এখন সরগরম রাজ্যের রাজনীতি।