আমরা সকলেই আগামীকালের সাথে আমাদের জীবন সুরক্ষিত করার জন্য পেনশন পাওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করি। যা পরে ভাল রিটার্ন দেবে। আপনিও যদি প্রতি মাসে শক্তিশালী রিটার্ন বা বেতনের মতো পেনশন পেতে চান এবং আপনার বার্ধক্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে চান, তবে এই প্রতিবেদনটি ভাল করে পড়ে নিন।
উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে অনেকেই হয়তো মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেবেন। পুরনো পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির দাবি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে জেনে রাখা ভাল যে নতুন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের পরে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল।
গাজিপুরের বাসিন্দা সুষমা যাদবের বিশেষ আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়, যার পরে আবেদনকারী স্বস্তি পাননি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চ পুরনো পেনশন প্রকল্পের সুবিধা দিতে অস্বীকার করেছে। আবেদনকারী সুষমা ইয়াদ এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি বিশেষ আবেদন দায়ের করে একক বেঞ্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।
আবেদনকারীর মতে, ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল এনপিএস কার্যকর হওয়ার আগেই তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে আবেদনকারী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন।
আইনি জটিলতার মধ্যে ২০০৬ সালে আবেদনকারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, নতুন পেনশন প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে যদি বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে, তাহলে তিনি নিয়োগের পর পুরনো পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী।
একই সঙ্গে আবেদনকারীর যুক্তি তর্কের বিরোধিতা করেন সরকারি কৌঁসুলি। সব পক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে দেন।