‘বিদাই বেলায় বউ-এর কান্না দেখে কেঁদে ভাসালেন বর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

সময় ক্রমশ বদলাচ্ছে। মেয়েদের কষ্ট ইদানিং অনুভব করতে পারেন ছেলেরাও।  ছোট্ট থেকে যে আঙিনায় মেয়েরা বড় হয়, সমাজের কোনো এক অলিখিত নিয়মে সেই বাড়ি ছেড়ে তাকে পাড়ি দিতে হয় অন্য…

Avatar

সময় ক্রমশ বদলাচ্ছে। মেয়েদের কষ্ট ইদানিং অনুভব করতে পারেন ছেলেরাও।  ছোট্ট থেকে যে আঙিনায় মেয়েরা বড় হয়, সমাজের কোনো এক অলিখিত নিয়মে সেই বাড়ি ছেড়ে তাকে পাড়ি দিতে হয় অন্য এক বাড়িতে যা তার শ্বশুরবাড়ি।  নিজের বাড়ি পরিণত হয় বাপের বাড়িতে।  যখন নিজের শিকড় উপড়ে কনের সাজে সজ্জিত হয়ে একটি মেয়ে চলে যায় অন্য সংসারে, তখন তার চোখ ভরে আসে অশ্রুজলে।

আগেকার দিনে কনের বিদায়বেলার কান্না দেখে সদ্য বিবাহিত  বরের মনে কষ্ট হলেও তাঁরা কাঁদতে পারতেন না। কারণ পুরুষের চোখের জলকে বিদ্রুপ করে সমাজ আজীবন বলেছে, ‘নাকী কান্না’।  হিন্দিতে তো ডায়লগ লেখা হয়ে গেল, ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’। কিন্তু পুরুষেরও কষ্ট হয়। সম্প্রতি একটি বিয়েবাড়িতে কনের বিদায়বেলায় তাঁর কান্না দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেললেন বরও।

বরের কান্না দেখে উপস্থিত অনেকেই তাঁকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে দিলেন।  তাঁদের মধ্যেই একজন বরের কান্নার ভিডিও তৈরী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সাইবার দুনিয়ায়।  সবাই নববিবাহিত বরের কান্নার ভিডিও মজাদার মন্তব্য করতে শুরু করেন।  সোশ্যাল মিডিয়া একটি আবেগপ্রবণ ভিডিওকে তকমা দিয়েছে মজাদার ভিডিওর।  সবাই হয়তো এই আবেগপ্রবণ পুরুষটিকে নিয়ে মজা করছেন, হাসছেন।  কিন্তু এটা বোধহয় কেউ একবারও ভাবেননি, যে মানুষটি নববিবাহিতা স্ত্রীর কষ্ট দেখে নিজেও কষ্ট অনুভব করেন,  সেই মানুষটি ভবিষ্যতে স্ত্রী-কে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। প্রকৃতপক্ষে, স্বামীর মধ্যে মেয়েরা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকে খোঁজার চেষ্টা করেন।  সেই স্বামীই স্ত্রীর প্রকৃত বন্ধু হতে পারেন, যিনি স্ত্রীর অনুভূতির সঙ্গে নিজের অনুভূতিকে মিশিয়ে দিতে পারেন।