HDFC Bank: প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা জমিয়ে ৩ লক্ষ পর্যন্ত রিটার্ন, HDFC-র এই স্কিমে গ্রাহকরা পাবেন দারুণ লাভ
মানুষ বিনিয়োগ করার সময় মূলত দুটি দিকে নজর দিয়ে থাকেন। ঝুঁকি হীন বিনিয়োগ এবং নিশ্চিত রিটার্ন। বাজারে বিনিয়োগের জন্য কম মাধ্যম নেই। কিন্তু বেশি সুদে যেখানে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত মোটা রিটার্ন পাওয়া যাবে সেখানেই বিনিয়োগের চিন্তা ভাবনা করে থাকেন অধিকাংশ মানুষ। এক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিট অনেকের প্রাথমিক পছন্দ হলেও রেকারিং ডিপোজিটেও (Recurring Deposit) অনেকেই ভরসা করেন নিশ্চিত রিটার্নের জন্য। উপরন্তু এখানে ঝুঁকি হীন ভাবে বিনিয়োগও করা যায়।
তবে রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন বিভাগে পড়েন এবং কত বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে এই দুটি ফ্যাক্টরের উপরে নির্ভর করে রিটার্ন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন মেয়াদে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এই অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে হয়। মেয়াদ পূর্তির পর সুদ সমেত পুরো টাকা পাওয়া যায়।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে আরডি তে। ৬ মাসের মেয়াদে রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে ৪.৫০ %, ৯ মাসের মেয়াদে ৫.৭৫ %, ১২ মাসের মেয়াদে ৬.৬০ %, ১৫ মাসের মেয়াদে ৭.১০ %, ২৪ মাসের মেয়াদে ৭ %, ২৭ মাসের মেয়াদে ৭ %, ৩৬ মাসের মেয়াদে ৭ %, ৩৯ মাসের মেয়াদে ৭ %, ৪৮ মাসের মেয়াদে ৭ %, ৬০ মাসের মেয়াদে ৭ %, ৯০ মাসের মেয়াদে ৭ % এবং ১২০ মাসের মেয়াদে ৭ % হারে সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক।
তাহলে হিসেব মতো, যদি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে পাঁচ বছরের মেয়াদে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার আরডি করা হয়, তাহলে ৭ শতাংশ সুদের হারে মেয়াদ পূর্তির পর ৭,১৯,২১৩ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। তবে প্রবীণ নাগরিকরা ৫ বছরের মেয়াদে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার আরডি করলে পাওয়া যাবে ৭.৫০ শতাংশ হারে সুদ। সেক্ষেত্রে ৭,২৮,৭৭১ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে ম্যাচুরিটির পর। আর যদি প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে জমা করা হয় তবে ৭ শতাংশ সুদের হারে পাঁচ বছরের মেয়াদে ৩,৫৯,৬০৮ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে জমালে পাঁচ বছর পর রিটার্ন পাওয়া যাবে ১,০৭৮,৮১৬ টাকা।