কলকাতা: কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে CBI দফতরে হাজিরা দিলেন এই হেভিওয়েট অফিসার, বিধানসভা ভোটের আগে সিবিআই-এর নজরে আসানসোল (Asansole)। কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত বা সন্দেহভাজনদের ধরপাকড়। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার আজ, সোমবার (Monday) নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার তথাগত বসু (Tathagata Basu)। এর আগে তিনি হুগলির (Hoogly) জেলাশাসক ছিলেন।
তাঁর কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান গোয়েন্দারা। তথাগত বসুর সঙ্গে সিবিআই ডেকে পাঠায় কল্লোল গনাই, অংশুমান সাহাকে। যদিও এদিন তথাগত ছাড়া বাকিদের নিজাম প্যালেসে দেখা মেলেনি। সিবিআই-এর দাবি, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি-সহ বিএসএফের ৪ অফিসারকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন ডিআইজি ছিলেন বলে খবর রয়েছে। এছাড়া ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট এবং একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার অফিসারও ছিলেন।
এদিকে এই মামলায় বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সম্প্রতি গরু পাচারে অভিযুক্ত অন্যতম তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তিনিও দুবাই পাড়ি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডে প্রথমে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ মিশ্র এবং পরবর্তী সময়ে এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে সিবিআই। তাদের কাছ থেকেই বিনয় মিশ্রের নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। এরপর আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট বের করে তাঁর বাড়িতে চল্লাশি চালায়। তাঁকে না পাওয়া যাওয়ায় ইতিমধ্যেই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে CBI দফতরে হাজিরা দিলেন এই হেভিওয়েট অফিসার, অভিযোগ ছিল, রাসবিহারীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বড় বড় ট্রাঙ্কে টাকা ঢুকতো এবং পরে তা অন্য জায়গায় পাঠানো হত। যেই কারণে ওই বাড়ির সিসিটিভি রেকর্ড পরীক্ষা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।