করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে সরাসরি দেখা যাচ্ছে হিমালয়, উচ্ছ্বসিত নেট নাগরিকরা

যখন করোনাভাইরাস এর প্রথম থেকে এসেছিল সেই সময় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সারা ভারতে। সেই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দূষণের পরিমাণ এতটা কমে গিয়েছিল যে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকা থেকে স্পষ্টভাবে…

Avatar

By

যখন করোনাভাইরাস এর প্রথম থেকে এসেছিল সেই সময় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সারা ভারতে। সেই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দূষণের পরিমাণ এতটা কমে গিয়েছিল যে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকা থেকে স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছিল বরফঢাকা হিমালয় কে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আরো একবার হতে চলেছে করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়। আরো একবার দেখা যাচ্ছে তুষারশুভ্র হিমালয়ের চূড়া, তাও আবার উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকা থেকেই।

উত্তরপ্রদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে জারি হওয়া বিধিনিষেধের কারণে সেখানে দূষণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই কারণে, এবারে কেবলমাত্র বাড়ির ছাদে উঠে সাহারানপুরের বাসিন্দারা হিমালয়ের চুড়ার দর্শন করতে পারছেন। সেরকম ভাবেই বেশ কয়েকজন মানুষ হিমালয়ের চুড়ার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন যেগুলি অত্যন্ত ভাইরাল হয়েছে।

একজন ডাক্তার এবং একজন সরকারি কর্মচারী শ্বেত শুভ্র হিমালয়ের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। এই ছবিগুলি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। উত্তর প্রদেশ নিবাসী বাঙালি ডাক্তার বিবেক ব্যানার্জি একটি ছবি তুলেছেন। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, “এটা একেবারে বিরল দৃশ্য। দুদিন বৃষ্টির পর যখন আকাশ একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল তখন আমরা উত্তর সাহারানপুর থেকে হিমালয় দর্শন করতে পারলাম।”

অন্যদিকে আবার উত্তরপ্রদেশের ক্যাডার আইএএস সঞ্জয় কুমার হিমালয় ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “সাহারানপুর শহর থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তুষারশুভ্র হিমালয় কে দেখা যাচ্ছে। দুদিন ধরে উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টি হলো। এই বৃষ্টির পরে আকাশ একেবারে পরিস্কার হয়ে গেছে।” আসলে এর আগে ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে এই ভাবেই হিমালয়কে দর্শন করা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে দূষণের কারণে এই জিনিসটি মানুষের কাছে অধরা। তবে করোনা ভাইরাসের লকডাউন আবারো মানুষকে এই অনুভূতিটা পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।