Ranu Mondal: টেম্পো করে বালি এনেছেন হিমেশ! অতীন্দ্রর পর হিমেশকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য রানাঘাটের রানুর
কথায় আছে,প্রতিভা কখনও চাপা থাকে না। একদিন না একদিন তা আত্মপ্রকাশ ঘটবেই। এই কথাটা শুধু কথার কথা নয় বাস্তবেও সম্ভব তা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন রানাঘাটের বৃদ্ধা রানু মণ্ডল। রেল স্টেনের প্লাটফর্ম থেকে সুদূর মুম্বই পাড়ি ছিল তাঁর প্রমাণ। তবে এই জার্নি-টা রূপকথার মতো শোনালেও বাস্তবে কিন্তু রানুর এই মুম্বাই সফর ছিল বেশ কঠিন। রানাঘাটের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মুম্বাই স্টুডিয়োতে রানুর সাহায্য করেন অতীন্দ্র নামক একজন সমাজকর্মী। তাঁর হাত ধরেই এই বৃদ্ধার মুম্বাই সফর।
রানাঘাট স্টেশন থেকে রানুর গানের হাতে খড়ি। একটা গানেই অতীন্দ্রর হাত ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন লতাকণ্ঠী রানু। পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই মায়াপুরীতে।। রানাঘাট ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে গান করে দিনাতিপাত করা রানু মণ্ডলের সেই বলিউড যাত্রা ছিল বেশ রোমহর্ষক৷ পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে হিন্দি ছবিতে দুটি গান প্লে-ব্যাকও করেছেন তিনি। তার মধ্যে ‘তেরি মেরি প্রেম কহানি’ গানটি বেশ হিট হয়। মুম্বাইতে হিমেশের হাত ধরে বলিউডে পরিচিত পেলেও নিজের অহংকারে আজ রানাঘাটের ঝুপড়িতে ফিরতে হয় রানুকে।
যে হিমেশ রেশমিয়া নিজের হাতে গায়ককে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর নামেই এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রানু মণ্ডল। এর আগেও অতীন্দ্রের নামেও নানান বেফাঁস মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়েছিলেন তিনি। তিনি অতীন্দ্রকে ভগবানের চাকর বলেছিলেন। এবার বলিউড সুপারস্টার গায়ক হিমেশ রেশমিয়াকে বালি ফেলার কর্মচারীর সাথে তুলনা করলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানুকে এক ইউজার প্রশ্ন করেছিলেন, এখনও হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে তাঁর কথা হয় কিনা? সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে বসেন, ‘হিমেশ রেশমিয়াকে এইতো ওই দিন দেখলাম ট্রাকে করে বালি নিয়ে আসতে। ছোট ট্রাক যেগুলোকে বলে টেম্পো’। এখানেই শেষ নয় তিনি আরো বলেন, হিমেশ রেশমিয়াকে তাঁর জানলার পেছনে বালি ফেলেতে দেখেছেন তিনি। এরপর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওঠে নেটিজেনদের হাসির রোল, ট্রোল এবং মিমের বন্যা। নানান মজাদার মন্তব্যে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
কেউ লিখেছেন ‘আমিতো জানি তুমি কী’, আবার কারও মন্তব্য, ‘নাম যশ খ্যাতির থেকেও ওঁনার দরকার ছিল মানসিক চিকিৎসার’। যদিও রানু মণ্ডলের পক্ষে সরব হয়েছেন একাংশ নেটিজেন। কারণ অনেকেই জানেন রানু মন্ডল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। তাই তাঁকে নিয়ে এহেন কুরুচিকর ট্রোলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মন্তব্য, ওনার কথাবার্তা শুনে বোঝা যায় উনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। এমন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে বা হাসির পাত্র বানানো ঠিক নয়। তবে যাই হোক এই ভিডিও বেশ ভালোই ভাইরাল।