ত্রিপুরা দখলের জন্য কোন কসুর বাকি রাখতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণে প্রথম থেকে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পূর্ণ সংগঠনকে একেবারে ঢেলে সাজানো শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ এদিন গেলেন ত্রিপুরায়। তবে ত্রিপুরায় যাবার আগে বিজেপির বিপ্লব দেব সরকারকে তুলোধোনা করলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভয়বাণী দিলেন, ত্রিপুরার সরকার করবে তৃণমূল কংগ্রেস, এবং ভূমিপুত্র হবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ স্তরে হয়তো ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঠিক করা হয়ে গেছে, এখন অপেক্ষা শুধুমাত্র নাম ঘোষণার।
মাসখানেক আগে বাংলা বিজয় করতে আসার সময় ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন জয় লাভ করলে বাংলায় কোন একজন ভূমিপুত্রই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার, তৃণমূলের তরফ থেকেও কিছুটা একই রকম বার্তা দেওয়া হচ্ছে ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে।
কলকাতা থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় বিমানবন্দরে কুনাল ঘোষ বললেন, “দলের কাজে ত্রিপুরা যাচ্ছি। ত্রিপুরা সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক। ত্রিপুরায় কোন রকম উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূলের নেতৃত্বে ত্রিপুরার উন্নয়ন হবে। ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিধায়ক ঘন্টা বেজে গিয়েছে। ত্রিপুরার ভূমিপুত্র মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”
দিন কয়েক আগে থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে। বিজেপি বারংবার অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরা এসে বিশৃংখলার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির তরফ থেকে তাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির উপরে হামলা করা হচ্ছে, আইপ্যাক টিমের সদস্যদের বন্দি করে রাখা হচ্ছে। সবকিছু নিয়েই ত্রিপুরার রাজনীতি বর্তমানে একেবারে তেতে উঠেছে। তার মধ্যেই, কুনাল ঘোষের ভূমিপুত্র এর মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি। তাহলে কে হচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী? চিন্তা রাজনৈতিক মহলে সর্বত্র।