লকডাউনের প্রথম দফার শেষ দিন, অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় পর্বের লকডাউনের ঘোষণা করে জানান দেশে ৩রা মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন পর্ব। দেশে এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুসংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। এমন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র গোটা দেশ জুড়ে যে সমস্ত রাজ্য হটস্পটের আওতায় তাদের রেড জোন থেকে গ্রিন জোনে আসার প্রক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করেছে।
কোনো অঞ্চল হটস্পট তখনই চিহ্নিত হবে যখন দেশের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ যদি সেই রাজ্যের হয় অথবা গোটা রাজ্যের কোনো একটি জেলায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ওই রাজ্যের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ হয় তবে ওই জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। আর এই হটস্পটযুক্ত অঞ্চলগুলি কিভাবে রেড জোন থেকে গ্রিন জোনে ফিরে আসতে পারবে সে বিষয়ে কেন্দ্র তিনটি জোনের উল্লেখ করেছে।
* মহামারী অবস্থার পর থেকে অর্থাৎ রেড জোনের পর থেকে প্রথম ১৪ দিন যদি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে তাহলে ওই অঞ্চলটি কমলা জোনে পদার্পণ করবে।
* এরপরের ১৪ দিন যদি ওই এলাকায় নতুন কোনো আক্রান্তের খবর না মেলে তবে তা কমলা জোন থেকে গ্রিন জোনের স্তরে উন্নীত হবে।
এভাবেই মোট ২৮ দিনের মধ্যে একটি অঞ্চল বা জেলা রেড জোন অর্থাৎ সংকটময় অবস্থা থেকে গ্রিন জোন অর্থাৎ স্বাভাবিক স্তরে পৌঁছবে। সুতরাং হটস্পট চিহ্নিত এলাকাগুলি ফের গ্রিন জোনে পদার্পণ করবে তখনই যখন সেই জেলায় বা অঞ্চলে ২৮ দিনের মধ্যে নতুন কোনো সংক্রমণের খোঁজ মিলবে না।