আজকালকার দিনে ভারতের প্রত্যেকেই রেলওয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করে থাকেন এবং বিশেষত পুজোর মরশুমে সব থেকে বেশি মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করে থাকেন। আজকের দিনে যদি ট্রেনের টিকিট পেতে আপনার সমস্যা হয় তাহলে বলা হয় আপনাকে আগে থেকেই বুকিং করতে হবে। অথবা উপদেশ দেওয়া হয় আপনাকে কোন না কোন এজেন্টের মাধ্যমে বুকিং করতে হবে। শেষ মুহূর্তে নিশ্চিত টিকিট সব সময় এজেন্টের কাছ থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনি এজেন্ট এর কাছ থেকে টিকিট কাটেন তাহলে কিন্তু আপনাকে বেশি টাকা দিতে হবে। এখন প্রশ্ন উঠছে এজেন্ট দের কাছে নিশ্চিত রেলের টিকিট কিভাবে পৌঁছে যায়? চলুন তাহলে ব্যাপারটা জেনে নেওয়া যাক
প্রতিটি রেলওয়ে দালাল প্রতিটি ট্রেনের টিকিট দুই থেকে তিন মাস আগেই বুক করে রাখেন। এর জন্য বিভিন্ন বয়সের টিকিট তিনি বুক করেন। এরমধ্যে তাদের নাম বয়স সবকিছুই লিপিবদ্ধ করা থাকে। এরপর যখনই কোন যাত্রী টিকিট বুক করতে যান এবং এজেন্টের মাধ্যমে তিনি যখন টিকিট বুক করতে চান, তখন তাকে সেই অনুযায়ী একটি নিশ্চিত টিকিট দেওয়া হয়। তবে এজেন্টের মাধ্যমে যে টিকিট আপনি পাবেন সেখানে কিন্তু আপনার নাম বয়স এবং লিঙ্গ সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকবে না। এজেন্টের দ্বারা বলা হয় আপনার কাছে কোন আইডি কার্ড চাওয়া হবে না কিন্তু যাত্রার সময় যদি টিকিট চেকার আপনার কাছ থেকে আইডি চান তাহলে তিনি দেখতেই পারেন
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowটিকিটে আপনার নাম বয়স এবং লিঙ্গ আইডির সাথে না মিললে আপনার নিশ্চিত আসন আপনি হারিয়ে ফেলতে পারেন। অন্যদিকে জরিমানা পরিশোধ করার পাশাপাশি জেলেও যেতে হতে পারে আপনাকে। ৪০০ টাকার স্লিপার টিকিটের পরিবর্তে আপনাকে ২০০০ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। এজেন্টের কাছ থেকে টিকিট নেওয়া এড়িয়ে চলাটাই ভালো। সম্প্রতি রেলের তরফ থেকে এরকম অনেক এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে নিশ্চিত টিকিট বুক করছিলেন। তাই এই ধরনের এজেন্ট এর কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন.