“মহেশ ভাট আমার বাবার মতো, তবুও আমাকে ওঁনার গার্লফ্রেন্ড বলা হচ্ছে” এটাই ছিল প্রয়াত সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর। কিন্তু একজন ৭২ বছর বয়স্কর সঙ্গে একটি ২৮ বছরের মেয়ের প্রেম কি সম্ভব? যদিও প্রেমের কোন মাপকাঠি হয়না। বয়স, জাত, ধর্ম কোন কিছুই প্রেমকে বেধে রাখতে পারে না। তাই অসমবয়সী প্রেম এখনও সমাজে বিদ্যমান। প্রসঙ্গ হল, রিয়ার সঙ্গে মহেশ ভাটের নাম জুড়ে দেওয়ার কারণ।
ঠিক দুই বছর আগে ২০ সেপ্টেম্বর, মহেশ ভাটের জন্মদিনের দিন রিয়া চক্রবর্তী লেখেন, “শুভ জন্মদিন আমার বুদ্ধা, স্যার এটা হলাম আমরা-তুমি আমায় ভালোবাসায় আগলে রেখেছো, তুমি আমাকে দেখিয়েছো ভালোবাসা কী, তুমি আমার ডানা গুলো মেলতে সাহায্য করেছে, তুমি হলে সেই হৃদয়কে আঘাত করা আগুন যা জ্বালিয়ে দেয় প্রত্যেক আত্মাকে যা কাছে আসে! শব্দ কম পড়ে যায়..আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
এর পরেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ে রিয়া চক্রবর্তী। সেদিন উত্তরে রিয়া কি বলেছিলেন, তা আমরা আগেই বলে রেখেছি। অবশ্য, সেদিন রিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে মহেশ ভাটের সঙ্গে আরও একটি ছবি পোস্ট সীতার সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে লেখেন- “তুই কে ? তোর নাম কি? সীতাও এখানে বদনাম কুড়িয়েছে।”
এই বছর সেই একই দিনে রিয়া চক্রবর্তী বাইকুল্লা জেলেই রাত কাটাচ্ছেন, এদিকে মহেশ জি তাঁর একরত্তি মেয়ে আলিয়ার সঙ্গে বেশ উপভোগ করছেন ৭২ এর জন্মদিন। প্রসঙ্গত, ২০২০ র ৮ ই জুন সুশান্তের ফ্ল্যাট ছাড়বার পর কেন মহেশ ভাটকে মেসেজ করেছিলেন রিয়া? সেদিন তো কোন জন্মদিন ছিল না! এই প্রসঙ্গে রিয়া চক্রবর্তী বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমি মহেশ ভাট সাহাবের সঙ্গে কথা বলেছিলাম কারণ উনি আমার বাবার মতো, আমি ওঁনাকে ফোন করেছিলাম..বলেছিলাম সুশান্ত আমাকে চলে যেতে বলেছে, আমি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। উনি আমাকে বলেন বাবার কথা ভাব এবং বাড়ি ফিরে যাও। আমি ভেঙে যেতে পারি না। এই কথাই উনি বলেছিলেন। এই কথোপকথনটা ভুলভাবে মানুষ বুঝছে। আমাকে উনার গার্লফ্রেন্ড হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যেখানে উনার আমার বয়সী মেয়ে রয়েছে। আমার কি কারুর সঙ্গে পরামর্শ করবারও অধিকার নেই?”