ভাইরাল & ভিডিও

Viral: ‘পড়বো না, পরে রাজমিস্ত্রি হয়ে পৃথিবীর সব স্কুল ভেঙে দেব’, কাঁদতে কাঁদতে আবদার বাচ্চা মেয়ের

পড়তে না মন গেলে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে বাচ্চারা

Advertisement

আজকালকার দিনে বিনোদনের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। টিভি, রেডিও, সংবাদপত্র ইত্যাদির ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছে এই ডিজিটাল দুনিয়াতে। করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী দশায় তাই প্রত্যেক মানুষের সময় কাটানোর অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। নানা হাসির, মজার বা নাচ, গানের ভিডিও দেখে সময় কাটছে সকলের। এককথায় বলা যেতে পারে এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে অক্সিজেন এই সোশ্যাল মিডিয়া। মাঝে মাঝেই ইন্টারনেটে এমন কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়ে যা দেখে হাসির রোল ওঠে নেটদুনিয়াতে। সম্প্রতি এমনই এক বাচ্চা পড়ুয়ার মজাদার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার লাইমলাইটে এসেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই বাচ্চা পড়ুয়ার শিক্ষিকা তাকে স্কুল যাবে না কেন জিজ্ঞাসা করতে সে বলে, “না যাব না। লোকের বাড়িতে কাজ করে খাব। আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। বড় হয়ে আমি রাজমিস্ত্রি হব এবং তারপর পৃথিবীর সব স্কুল ভেঙে দেবো।” ওই বাচ্চা পড়ুয়া কাঁদতে কাঁদতে এই কথাগুলি বলে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই নেটিজেনরা তাতে লাইক ও কমেন্ট এর বন্যা বইয়ে দেয়। আসলে অনেকেই ওই খুদের কথা বেশি কিউট বলে মনে করেছেন।

আসলে গত দুই বছর ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ। অনেকেই ছোট থেকে স্কুল না গিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে। বাচ্চাদের মন বড়ই চঞ্চল হয়। তাদের পড়তে না মন গেলে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে সকলের সামনে। তারা দুনিয়াকে খুব সহজ করে দেখায় এমনই কিছু বলে যা প্রাপ্তবয়স্কদের শুনলে হাসির রোল ওঠে। তবে যাই হোক না কেন সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়াতে এখন ওই খুদে বাচ্চার ভিডিও আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে ভিডিওটি দেখে অনেকে মজা হিসেবে নিলেও নেটিজেনদের একাংশ এটিকে ভালভাবে নেয়নি। কেউ কেউ শিক্ষিকার দিকে প্রশ্ন তুলে কমেন্ট করে জানিয়েছেন, “স্কুলে যাবে কিনা তা তাকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে এভাবে ভিডিও বানিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে শাসন করা যায় না। বাচ্চাদের বড় করার জন্য মা-বাবাদের শিক্ষার প্রয়োজন হয়।” তবে ইতিবাচক-নেতিবাচক কমেন্ট মিলিয়ে ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বাচ্চা মেয়েটির কাঁদতে কাঁদতে কথা বলার ধরন এবং মুখের এক্সপ্রেশন সকলকেই আনন্দ দিয়েছে।

Related Articles

Back to top button