উপনির্বাচনে তিনটি আসনই হাতছাড়া হল বিজেপির। সবুজ ঝড়ের কাছে ফিকে পড়লো গেরুয়া। তিনটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের কাছে হারার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি থেকে সমস্ত বিজেপি নেতারা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিল্লী থেকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “ভোটের ফল পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করে আমরা নিজেদের ভুল সংশোধনের চেষ্টা করব। ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল হাতে পেলেই আমরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখব।” গত লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ যেখানে ৬০ হাজার ভোটে জিতেছিল সেই খড়গপুর কেন্দ্রে ২০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গেলো বিজেপি।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন যে, জনগণের হয়তো প্রার্থীকে পছন্দ হয়নি নতুবা আমজনতা এবং দলের মধ্যে এখনও বোঝাপড়ার জায়গা ঠিক তেমন ভাবে তৈরী হয়ে উঠেনি। এছাড়া তিনি হারের জন্য কার্যকর্তাদের ঢিলেমিকে দায়ী করেছেন। তিনি এদিন বলেন যে পুলিশকে হাতিয়ার করে তৃণমূল অনেক ভোট ছিনিয়ে নেয়। তিনি প্রশাসনের তুলোধনা দিয়ে বলেন ক্ষমতায় থাকলে এরকম সুযোগ সহজে নেওয়া যায়।
আজ বিজেপি নেতা মুকুল রায় বিজেপির হার দেখে বলেন যে বিজেপি মানুষের মন বুঝতে সক্ষম হয় নি। তবে তিনি আশাবাদী হয়ে বলেন যে ২০২১ সালের বিধান সভায় ভালো ফল করবে পদ্ম শিবির। আজ বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিকের সম্মেলনে বলেন যে এনআরসি বিজেপির হারে মূল কারন।
এনআরসিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। তিনি জানান যে করিমপুরে বিজেপি প্রার্থীকে যেভাবে হেনস্থা করেছে তৃণমূল তাতে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো স্বাভাবিক ব্যাপার। তিনি দাবি করেন যে বিজেপিকে রুখতে শাসক দলের সাথে হাত মিলিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।