‘হিন্দু হলে প্রেম করতাম’! এই মন্তব্যের যথাযথ উত্তর দিলেন রাসমণির ‘রাজচন্দ্র’ ওরফে গাজী আব্দুন নূর
গাজী আব্দুন নূর ওরফে বাবু রাজচন্দ্র দাস। ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে এই ঐতিহাসিক চরিত্রটি আলাদা পরিচয় দিয়েছে ওপার বাংলার অভিনেতাকে। নূরের সুন্দর মুখশ্রী, অনবদ্য অভিনয় দক্ষতার প্রেমে পড়েছিলেন এপার বাংলাদ দর্শকরা। অনেকদিন আগেই রাসমণি ধারাবাহিকে চুকেছে রাজচন্দ্রের পর্ব। কিন্তু নূরকে ভুলতে পারেনি এপার বাংলার মানুষ।
এপার বাংলায় অভিনয় না করলেও সাধারণ মানুষের মনে এখনো গেঁথে আছেন অভিনেতা। তেমনই নূরও প্রিয় অনুগামীদের মনে রেখেছেন। এখনো এই টেলি ইন্ডাস্ট্রির সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে এখনো দিব্যি যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় নূর। আর প্রিয় অনুগামীদের উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝেই নানান ছবি বা নিজের কিছু মনের কথা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেওয়ালে শেয়ার করেন।
এমনিতে নূরকে ঠান্ডা মাথার মানুষ হিসেবেই এতদিন জেনে এসেছে বাংলার দর্শকেরা। কিন্তু সম্প্রতি জনৈক নেটনাগরিকের মন্তব্যে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছেন বাবু রাজচন্দ্র দাস। কিন্তু কেন? কি হল হঠাৎ। আসল ব্যপারটা হল সম্প্রতি নূর নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘একখান ইটিশ পিটিশ প্রেম করতে মন চায়’। এটি মূলত একটি মজা করে অনুগামীদের সাথে শেয়ার করেন। কমেন্টগুলিও বেশ মজার। একজন নেটনাগরিক উপদেশ দিলেন, মন যা চায় তা করে ফেলতে হয়। আবার কারোর মতে, ইটিশ পিটিশ প্রেম করেই আসল মজা। এমনি প্রেমে কোনো মজা নেই।
বার কয়েকজন রাজচন্দ্র দাসের এহেন আবদার শুনে অবাক। একজন লিখে বসলেন, এতজন নাতি পুতি রয়েছে, এখন কিনা আবার প্রেম। এদের কমেন্টে অভিনেতাও মজা করেন। তবে একজনের কমেন্ট দেখেই রেগে বাবু রাজচন্দ্র। একজন নেটনাগরিক লিখে বসেন, ‘আপনি মুসলিম না হয়ে হিন্দু হলে আমি রাজি ছিলাম এই প্রেমের জন্য।’ সঙ্গে বেশ কতগুলো লজ্জা পাওয়ার ও হাসির স্মাইলি যোগ করেন। তবে এই কমেন্ট দেখে কেউ মজা পাননি নূর তিনি রেগে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় কমেন্টের জবাবে লেখেন, ‘প্রেম তো অনেক দূরের কথা!!! এমন মানসিকতার লোক আমার প্রোফাইলেও রাখতে চাই না।’ অভিনেতার এই কমেন্ট দেখে অনেকেই অভিনেতাকে সহমত পোষণ করেছেন।
একজন নূরের পক্ষেই বললেন, প্রেম কখনো জাত বা ধর্ম দেখে হয় না। প্রেম এক পবিত্র সম্পর্ক যা মনের সঙ্গে মনের’। আবার অনেকে ওই মহিলাকে বললেন, জাত ধর্ম না দেখে মানব ধর্মের উপর জোর দেওয়ার কথা বললেন। তারপর অবশ্য ওই নেটনাগরিককে কোনও উত্তর করতে দেখা যায়নি।