আজকের দ্রুত গতির জীবনে, অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত চাহিদা পূরণের জন্য ঋণের উপর নির্ভরশীল। তবে, ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা অনেকের জন্যই একটি বড় সমস্যা। ঋণ খেলাপি হওয়ার ফলে ব্যক্তিগত ও আর্থিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণ, ঋণের সুদের হার সম্পর্কে অজ্ঞতা, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সম্পর্কে অবহেলা ঋণ খেলাপির প্রধান কারণ। এছাড়া ব্যবসায়িক ক্ষতি, চাকরি হারানো, অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের কারণে আয় কমে গেলে ঋণ পরিশোধে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ঋণখেলাপি হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
ঋণ খেলাপির ফলে ক্রেডিট স্কোর নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়। এর ফলে ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়া, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা, বীমা করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ঋণ পরিশোধ না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তাই ঋণ গ্রহণের আগে আপনার প্রয়োজন ও আয়ের পরিমাণ বিবেচনা করে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। আর ঋণ গ্রহণের আগে সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা, জরিমানা ইত্যাদি শর্তাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
এরমাঝে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন থাকে যে ঋণ শোধ করতে না পারলে কি গ্যারেন্টারকে ঋণ শোধ করতে হয়? আপনাদের জানিয়ে রাখি ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তির যদি একজন গ্যারান্টার থাকে, তবে ব্যাঙ্ক প্রথমে তার সাথে যোগাযোগ করে। এর জন্য একটি গ্যারান্টার চুক্তি রয়েছে। এতে লেখা আছে, ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে খেলাপি হলে তাঁকে টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে ব্যাঙ্ক এরআগে অনেক সুযোগ দিয়ে থাকে। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তারপর আইনের দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক। এমনকি ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি মারা গেলে, দুর্ঘটনায় পড়লে বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, ব্যাংক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।