করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময়ে ভারতের প্রত্যেকটি মানুষ নিজের একটা আলাদা দুই চাকা কিংবা চার চাকার কোন বাইক, স্কুটার অথবা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের কাছে নূন্যতম একটা স্কুটি রয়েছে। যদি আপনিও এরকম মানুষ হন যার কাছে একটি স্কুটি আছে, তাহলে এই খবরটা শুধুমাত্র আপনার জন্য। আপনাদের জানিয়ে রাখি, আপনাদের যাদের কাছে স্কুটি আছে, এবার থেকে তাদেরও চালান কাটার সম্ভাবনা রয়েছে। হ্যাঁ, একদম ঠিক দেখছেন, ভারত সরকারের নতুন ট্রান্সপোর্ট আইন অনুসারে, এবার থেকে যদি আপনার কাছে আপনার গাড়ির অথবা স্কুটির কাগজপত্র না থাকে, তাহলেও আপনি চালান সমস্যায় পড়তে পারেন। এতদিন পর্যন্ত স্কুটি থাকলে খুব একটা বেশি সমস্যা হতো না, কিন্তু এবার থেকে আর কোনরকম যানবাহনকে রেয়াত করবে না ভারত সরকার।
যদি আপনি শহরের মধ্যে স্কুটি চালান তাহলে সাবধান হয়ে যান। যদি কাগজপত্র আপনার কাছে না থাকে সঠিকভাবে, তাহলে সর্বাধিক আপনার ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত চালান কাটতে পারবে পুলিশ। ২০১৯ সালে জারি করা নতুন ট্রাফিক আইন অনুসারে, এবার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে যখন এই ট্রাফিক নিয়ম চালু করা হয়েছিল সেই সময় এই নিয়মের পালন না করার জন্য দীনেশ মদন নামের একজন ব্যক্তির ২৩ হাজার টাকা চালান কাটা হয়েছিল
এই মামলাটির কারণ ছিল, যে সময় তাকে ট্রাফিক পুলিশ ধরে ছিল সেই সময় তার কাছে তার যানবাহনের কোন কাগজপত্র ছিল না। সে যতক্ষণে বাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে আসতে যাবে, ততক্ষণে হরিয়ানা ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে চালান কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দীনেশ মদনের স্কুটির দাম ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা। যদি আপনি এরকম ভাবেই ট্রাফিক আইন পালন না করেন তাহলে আপনারও এই ভাবেই চালান কাটতে পারে ট্রাফিক পুলিশ।
তবে এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে ভারতীয় গাড়ি চালকদের জন্য। এবার থেকে যদি আপনারা গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলেন তাহলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হবেনা। কোন পুলিশ কর্মী আপনার চালান কাটতে পারবে না। যদি সে এরকম করে থাকে তাহলে আপনি আদালতে তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তবে হ্যাঁ যদি কোন ড্রাইভার গাড়ি চালানোর সময় হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশন ফিচার ব্যবহার করেন তবেই কিন্তু এই আইন কাজ করবে। নতুন আইন অনুযায়ী বলা হয়েছে, যদি হাতের মাধ্যমে চলে এরকম কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম গাড়ি চালানোর সময় ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশন টেকনোলজি ব্যবহার করা যাবে। এরকম কোন টেকনোলজি ব্যবহার করলে কোন পুলিশ অফিসার আপনাকে জরিমানা করতে পারবে না।