Business Idea: সারা জীবন মোটা টাকা ইনকাম করতে চাইলে শুরু করুন এই ব্যবসা, চাহিদা কখনোই কম হবে না
আপনি যদি নিজের তাগিদে একটা ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এটাই আপনার জন্য সবথেকে ভালো ব্যবসা হতে পারে
আপনি যদি এখনই একটা নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে আমাদের কাছে একটা দারুন আইডিয়া। আজকালকার দিনে চাকরির সাথেই সবাই একটা ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন। কিন্তু নতুন ব্যবসা শুরু করতে সবারই প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে আজ আমরা এমন একটা ব্যবসা সম্পর্কে আপনাকে বলতে চলেছি যেখানে আপনি খুব কম টাকা খরচ করে প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন। এই ব্যবসা হল টিস্যু পেপার তৈরীর ব্যবসা। ভারতে ইতিমধ্যেই এই ব্যবসা দারুণভাবে সাফল্য লাভ করতে শুরু করেছে। ভারতে ন্যাপকিন এবং টিস্যু পেপারের ডিমান্ড অনেক বেশি। সাধারণত হাত এবং মুখ পরিষ্কার করার জন্য টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয়। আজকাল প্রায় সর্বত্রই যেমন রেস্টুরেন্ট হোটেল ধাবা অফিস এবং হাসপাতালে এই টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই কারণে যদি আপনি ভালভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে দারুন টাকা লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার।
কত বিনিয়োগ করবেন?
আপনি যদি পেপার ন্যাপকিন অর্থাৎ টিস্যু পেপারের একটি উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করতে চান তাহলে আপনার প্রাথমিকভাবে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। আপনি যেকোন ব্যাংক থেকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই টাকা প্রাথমিকভাবে আপনার কাছে থাকতে হবে। এই টাকা থাকলে আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারবেন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে আপনি মোটামুটি ছয় থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত একটা কার্যকরী মূলধন তুলতে পারবেন।
কত টাকা আয় করতে পারবেন?
বছরে ১.৫০ লক্ষ কেজি পেপার ন্যাপকিন তৈরি করতে পারবেন আপনি আপনার ওয়ারহাউস থেকে। এটি যদি আপনি প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেন তাহলে এক বছরে ৯৭.৫০ লক্ষ টাকা টার্নওভার করতে পারবেন আপনি। এতে যদি সমস্ত খরচ বের করে দেওয়া হয় তাহলে আপনি প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা শুধুমাত্র সাশ্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ন্যাপকিন বিক্রি করার জন্য একটি বহুজাতিক সংস্থার সাথে চুক্তি করতে পারেন। খরচ বাদ দেওয়ার পরে আপনি এক মাসে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেট লাভ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে আপনার পুরো ঋণ শোধ করতে পারবেন।
মুদ্রা প্রকল্পে কিভাবে ঋণ পাবেন?
এর জন্য আপনি প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে যে কোন ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে যেখানে আপনাকে সমস্ত রকমের বিবরণ দিতে হবে। আপনার নাম ঠিকানা ব্যবসার ঠিকানা শিক্ষা বর্তমান আয় এবং কত টাকা ঋণ প্রয়োজন সেটা আপনাকে জানাতে হবে। মুদ্রা প্রকল্পে যদি আপনি ঋণ গ্রহণ করেন তাহলে কোন প্রসেসিং ফি বা গ্যারান্টি ফি দিতে হয় না। ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত সহজ কিস্তিতে আপনি শোধ করতে পারবেন।