সময় অনুযায়ী এখন বসন্তকাল। কিন্তু অকাল বৃষ্টির জেরে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়ছে। ভরা বসন্তের অপরূপ সৌন্দর্য আর পাচ্ছেন না। তবে এর মধ্যেও খাদ্যপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এই ভরা বসন্তে দেখা মিলেছে ইলিশের। ডায়মন্ডহারবার ,কুলপি , কাকদ্বীপ ,নামখানাতে পাওয়া গেছে ইলিশের ঝাঁক। সামনেই দোল তার উপর আবহাওয়া ঠাণ্ডা আর এরকম সময় মেনুতে ইলিশ থাকলে তো পুরো জমে ক্ষীর। আমজনতা এই ইলিশের দেখা পেয়ে আর লোভ সামলাতে পারছে না।
মাতলা, কুলপি এই নদীগুলিতে ইলিশের দেখা মিলেছে। দক্ষিন ২৪ পরগনার ফিস্যারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় মাইতি বলেছেন যে যেসব নদী বঙ্গোপসাগরের সাথে যোগ রয়েছে সেই নদীগুলিতে ইলিশ ঢুকে পড়েছে। সব ইলিশের পেটেই দিম রয়েছে। এইসময় ইলিশের পেটে ডিম থাকে না, কিন্তু এই বারবার ঘূর্ণাবর্তের জন্য বৃষ্টি হওয়াতে ডিম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ডিম ছাড়ার জন্যই ইলিশের দল সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীর গভীরে আসছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এই সময়ের ইলিশ আগমনের ফলে সমস্যাও রয়েছে। এরকম বৃষ্টি হলে আরও ইলিশ আসবে কিন্তু এর ফলে মা ইলিশগুলি জালে ধরা পড়বে, জার ফলে বর্ষাকালে ইলিশ কম পাওয়া যাবে। এই এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইলিশ ডিম ছাড়ে। বাচ্চা তৈরি করে মা ইলিশেরা। এইসময় ডিম আসার উপযুক্ত সময় না তাই এখন ডিম সহ মা ইলিশের দল জালে ধরা পড়ছে। পরে ইলিশের ঘাটতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই ইলিশের ওজন ৮০০-১২০০ গ্রামের মধ্যে। খুচরো বাজারে দাম প্রতি কেজিতে ১০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। দাম একটু চড়া হলেও বাঙালী কিনছে। দোলের সময় ইলিশ পাওয়া যায় না। এবছর পাওয়া গেছে তাই আমজনতা আর সুযোগ ছাড়তে চাইছে না। আসল কথা ” মাছে ভাতে বাঙালী ” মাছ পেলেই হল, আর সেই মাছ যখন ইলিশ তখন তো কোন কথা হবে না।