ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন গায়িকা, অর্কদীপের জয়ের পর নানান ট্রোলের শিকার ইমন চক্রবর্তী
ট্রোলিং এই শব্দটার সাথে টলিউডের অনেক সেলিব্রেটি ভালো ভাবে পরিচিত। এরকমই ট্রোলিং কিছুতেই পিছু হটছে না সংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তীর সাথে। সম্প্রতি সারেগামাপার মঞ্চে এই বছরের চ্যাম্পিয়ন অর্কদীপকে নিয়ে শুরু হয় ট্রোল্ড। অর্কদীপের সাথে তাঁর গুরু দি ইমনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল নানান কটুক্তি। চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে একটাই কথা ছিল যে টাকা খাইয়ে নাকি গুরুভাই অর্কদীপকে চ্যাম্পিয়ান করিয়েছেন গায়িকা ইমন।
গুরু শিষ্যের সম্পর্ক নিয়ে উঠেছিল নানান তর্ক। তবে ইমন নানান ট্রোলের উত্তরে নেটিজেনদের সপাটে জবাব ও দিয়েছেন। এই ঘটনার লাইভে এসে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন ইমন। যতই তিনি প্রতিবাদ করুক কিন্তু সেই সময় তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল সেই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে কথা বললেন গায়িকা ইমন। সারেগামাপার ফাইনাল টেলিকাস্টের পর তিনি ৩-৪ দিন ঘর থেকে বাইরে বেরোতে পারেননি মানুষের কথাতে। তিনি একজন মহিলা হয়ে কোন মহিলাকে অসম্মান করেননি তবে অন্য মহিলারাই তাঁর গায়ে কাদা ছিটিয়েছিলেন।
তিনি সেই সময় শুধু ভাবতেন, কোনও অন্যায় না-করেও কেন তিনি এই ধরনের কটুক্তির সম্মুখীন হতেন। তিনি যদি বাড়ি থেকে বেরোতেন তাহলেই সকলে তাঁর ব্যপারে খারাপ কথা বলা হত৷ এরজন্য গায়িকা এসবের থেকে বেরোতে সাইক্রাটিসের সাহায্য নিয়েছিলেন। ওই পিরিয়ডটা গায়িকার কাছে খুব কষ্টদায়ক ছিল। তবে অভিনেত্রী এও বলেন এখন আর এসব নিয়ে ভাবছেননা। নীলাঞ্জন আর ইমনের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছিল নানান তর্ক।
বিয়ের পর মঞ্চে গান গাইতে উঠে হাতে কেন শাখা পলা, সিদুঁর পড়েননি সেই সব নিয়ে চলেছিল ট্রোলিং। এমনকি শোভনের সাথে ইমনের সম্পর্ক ভাঙন নিয়ে চলেছে নানান কু কথা। তবে এসব এখন না ভেবে তিনি নিজের গানেই ফোকাস করছেন। সম্প্রতি এই করোনা আবহে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে সাহায্য করার ছুটির দিনে কোনো আলস্য না দেখিয়ে মানুষের জন্য হাসিমুখে হাসপাতালের বেডে রক্তদান করলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন। ক্যাপশন ইমন লিখেছেন, এই রবিবার তাঁর কাছে খুশির রবিবার।