কৃষি সেস নিয়ে এবারে কেন্দ্রীয় সরকারের বড় সিদ্ধান্তে এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমতে চলেছে বাঙালির প্রিয় মসুর ডালের। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেহেতু ভারতের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত ডাল হলো মুসুর ডাল তাই এর উপরে কোনরকম আমদানি শুল্ক নেওয়া হবে না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এছাড়াও এই ডালের উপরে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট সেস অর্ধেকটা কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে মসুর ডাল এবং সেই জাতীয় বেশ কিছু কৃষিজাত পণ্যের মূল্য অনেকটা কমছে মার্কেটে।
বর্তমানে করোনাভাইরাস এর কালে সবথেকে বেশি মূল্য বৃদ্ধি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে অন্তত ডালের উপর থেকে সমস্ত ধরনের শুল্ক তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া এর আগে আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত মসুর ডালের উপরে ৩০ শতাংশ সীমা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপরে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মসুর ডালের ওপর থেকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট সেস কমিয়ে দিলেন ১০ শতাংশ।
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে ভারতে প্রতিবছর ২.৫ মেট্রিক টন ডাল প্রয়োজন। কিন্তু এই বছর উৎপাদন কিছুটা কম হবার আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণে অভাব তৈরি হতে পারে এবং যার জন্য চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণে মসুর ডালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে।
ইতিমধ্যেই, ভারতের মসুর ডালের দাম মোটামুটি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে করোনাভাইরাস সময় শুরু হবার আগে কিলো প্রতি ৭০ টাকা করে মসুর ডাল কেনা যেত, সেখানে এখন মসুর ডালের দাম কিলো প্রতি ১০০ টাকা করে। তাই এই মুহূর্তে মসুর ডালের দামের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।