বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে শাসক শিবির নাকি লাল শিবির কাকে সমর্থন করতে চলেছে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি? রবিবার তা নিয়েই কলকাতার উদ্দেশ্যে আসছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) । বামেদের ব্রিগেডে আমন্ত্রণ করা হয়েছে তাকে। সেই কারণে সেখানে যেতে পারেন তিনি। অন্যদিকে শাসক শিবিরের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করে ভোটের আলোচনা ও করতে পারেন তিনি৷ আসন্ন ভোটে বাংলার হিন্দিভাষী এলাকাগুলিকে আরজেডির জন্য ছেড়ে দিতে পারে বাংলার শাসক শিবির, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র হতে। এই বিষয়ে ব্যারাকপুর এবং নৈহাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আগেই। একাধিক সম্ভাবনা নিয়েই রাজ্যের পথে আসছেন তেজস্বী যাদব।
মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আরজেডি সহ আঞ্চলিক দল গুলির যে সখ্যতা রয়েছে তা অজানা নয়। বিহারের নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব কে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে ভুবার তাকে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন তিনি। বেশ কিছু বার উভয়ের দেখাও হয়েছে। এছাড়া জাতীয় স্তরে যখনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) কোনও ঐক্যমঞ্চ গড়তে চেয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাশে পেয়েছেন লালুপ্রসাদের দল আরজেডি কে। বিশেষত বিজেপি বিরোধী জোটে শাসক শিবিরের সঙ্গী আরজেডি। এবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাই সেই লড়াইয়েও তৃণমূল আরজেডিকে পাশে পেতে চায়। সেই উদ্দেশে তেজস্বী যাদবের সাথে বৈঠকের ভাবনা তার। সূত্রের খবর, তেজস্বী যাদব রবিবারই কলকাতায় আসছেন। উভয়ের আলোচনার বিষয়বস্তু অবশ্যই বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। অন্দরে গুঞ্জন, শাসক শিবিরের সাথে আসন সমঝোতা করতে পারে লালু প্রসাদের দল।
অন্যদিকে ডানা বেধেছে আরো এক জল্পনা। আগের ভোটে বামেদের সাথে জোট করে বেশ ভালো ফল পেয়েছে আরজেডি। সেই কারণে তেজস্বীর মতো তরুণ মুখ কে ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাকে আরও চাঙ্গা করতে চায় দল। যদিও ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে তেজস্বীর নাম এখনও চূড়ান্ত নয়। ফলে রবিবার এসে তিনি ব্রিগেডের সভায় যেতেও পারেন, অথবা অন্য কোথাও বাম নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, রবিবার কলকাতায় পা রেখে দুপুরের দিকে আরজেডি নেতৃত্বের সঙ্গে বেলেঘাটায় বৈঠক করবেন তেজস্বী।