সুপারস্টার অক্ষয় কুমারকে তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে ট্রেন্ডসেটার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না সম্পর্কে সবাই অবগত। তিনি নিজের সময়ে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। আর এখন তিনি একজন জনপ্রিয় কলামনিস্ট এবং প্রখ্যাত লেখিকা। তবে, আজকে এই নিবন্ধে আমরা কথা বলবো টুইঙ্কেল খান্নার বোনের ব্যাপারে। অক্ষয় কুমারের শ্যালিকা অর্থাৎ টুইঙ্কল খান্নার বোন রিঙ্কি খান্না নিজেও ছিলেন টুইঙ্কেলের মতোই একজন অভিনেত্রী। গোবিন্দার মত তারকাদের সঙ্গে তিনি একসাথে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন। পাশাপাশি, তার সৌন্দর্যেও সকলেই ছিলেন এক প্রকার মোহিত। কিন্তু, খুব কম সময়ের মধ্যেই বলিউডকে বিদায় জানিয়ে এই পুরো গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন রিংকি? চলুন সেটা নিয়েই কথা বলা যাক।
অক্ষয় কুমারের শ্যালিকা রিঙ্কি খান্না আসল জীবনে খুবই সুন্দরী। তবে, শ্যালিকা হলেও, অক্ষয় এবং রিংকির সম্পর্ক একেবারে নিজের ভাইবোনের মতোই বলা চলে। দুজনের মধ্যে খুব গভীর সম্পর্ক। অক্ষয় রিংকে ভালো-মন্দ সব সময়েই একে অপরকে সমর্থন করেন।
রিঙ্কি খান্না আদতে বলি অভিনেতা রাজেশ খান্নার দ্বিতীয় কন্যা। রিঙ্কি খান্না বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন, যদিও তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার খুব একটা বিশেষ ভালো কখনোই ছিল না। এ কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পেয়ার মে কাভি কাভি’ ছবির মাধ্যমে রিঙ্কি খান্না তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।
এরপর রিঙ্কি গোবিন্দার সঙ্গে ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রহতা হ্যায়’-এ কাজ করার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও, চলচ্চিত্র জগতে সাফল্য পেতে পারেননি রিংকী। যদিও সৌন্দর্য্যের দিক থেকে বিচার করলে সেই সময়ের সবথেকে সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় তিনি ছিলেন প্রথমদিকে। তবে, সুন্দরী হলেও, তার ফিল্মি ক্যারিয়ার কখনোই তেমনভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। ক্যারিয়ারে ৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে, তিনি চামেলী সিনেমায় কাজ করেছিলেন। তবে তার পরেই রিঙ্কি খান্না বলিউডকে বিদায় জানান।
চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে অক্ষয় কুমারের শ্যালিকা রিঙ্কি বিদেশে পাড়ি জমান এবং দেশ ছেড়ে চলে যান। ২০০৩ সালে, তিনি সমীর শরণের সাথে বিয়ে করেন এবং তিনি তার স্বামীর সাথে লন্ডনে চলে যান। এখনও তিনি লন্ডনেই বসবাস করছে।