লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ফের লকডাউন আরোপ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দ্রুত গতিতে জীবাণু ছড়াচ্ছে, বলছেন স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। রবিবার এই স্বীকারোক্তি করলেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ফের লকডাউন আরোপ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ক্রিসমাসের ঠিক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্রিটেনের জনসাধারণ।
এই পরিস্থিতিতে ক্রিসমাসের যাবতীয় অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সরকার। উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে যাওয়ায় মনমরা লন্ডনবাসী। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড থেকে পর্যটকদের ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্কটল্যান্ড। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ব্রিটেনে নতুন চেহারায় ফিরে এসেছে মারণ ভাইরাসটি। আগের চেয়ে যার সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে উৎকণ্ঠা। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক জানিয়েছেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, করোনা সংক্রমণের গতি আটকানো যাচ্ছে না। বর্তমানে পরিস্থিতি যথেষ্টই ঘোরালো। এই অবস্থায় লন্ডনবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, বড়দিনের সবচেয়ে বড় উপহার হবে, প্রতিটি মানুষ যদি নিজেকে ঘরবন্দি রাখেন। তা না হলে সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল।
লকডাউন জারি হওয়ায় ব্রিটেনের উদ্দেশে উড়ান বাতিল করেছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। বেস কয়েকটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশও অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।