নিউইয়র্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম সাধারণ সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিবৃতির কড়া জবাব দিল ভারত৷ প্রথম থেকেই পাকিস্তানের নানা বিবৃতি মেনে নিতে নারাজ ছিলো ভারত। এবার কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে ভারত জানায় সন্ত্রাসবাদ, সংখ্যাগুরু মৌলবাদ, আদিবাসীদের সাফ, গোপন পরমাণুর ব্যবসা এসব কিছুই গত ৭০ বছরে পাকিস্তানের গৌরব৷
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, “পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতা হিংসা ও বিদ্বেষে প্ররোচনা জোগাচ্ছে যারা, তাদের হয়ে কথা বললেন৷ কিন্তু উনি কি নিজেদের দিকে তাকিয়েছেন? বিশ্বের উপকারে কিছু ভাল পরামর্শ দেওয়ার মতোও কিছু নেই৷ আমরা দেখলাম মিথ্যে, যুদ্ধে উস্কানিমূলক কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য শোনা গেল এই সভার মাধ্যমে”।
পাকিস্তানের একাধিক বিভ্রান্তি মূলক আচরণ এবং ভারতীয়দের ওপর তোষণ নীতি কারো অজানা নয়। পাকিস্তানের একের পর এক এই আগ্রাসন নীতির কারণেই তার ওপর যথেষ্ট রুষ্ট পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। কিন্তু এরপরেও পাকিস্তানের নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা তো নেই উলটে যতো দিন যাচ্ছে পাকিস্তান নিজে আরো খারাপ কাজে নিজেকে যুক্ত করে চলছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয়দের নিশানা করতে শুরু করেছিলো পাকিস্তান৷ গোপন সূত্রে জানা যায় আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কর্মরত বহু ভারতীয়দের আক্রমণ এবং অপহরণও করা হয়েছে৷ পাকিস্তান গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর সিদ্ধান্তকে অস্ত্র করে আফগানিস্তানে কাজ করেছেন এমন চারজন ভারতীয়কে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রমাণ করারও চেষ্টা করেছে।
এদিন পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে ভিনিতো বলেন, “গত ৭০ বছরে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মতো পাকিস্তানের একমাত্র গৌরব হল, সন্ত্রাসবাদ, আদিবাসীদের সাফ, সংখ্যাগুরু মৌলবাদ, পরমাণুর গোপন ব্যবসা৷ এই সেই দেশ, যারা গ্লোবাল টেররিস্টদের পেনশন দেয়৷ যে রাষ্ট্রনেতার বক্তব্য আজ আমরা শুনলাম, তিনি ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ আখ্যা দিয়েছিলেন গত জুলাইয়ে নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে৷ ৩৯ বছর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় গণহত্যা চালিয়েছিল এই পাকিস্তান৷ নিজেদের দেশের মানুষদেরই খুন করেছিল”।