ভারত-চিন সীমান্তে গত ২০ দিনে গুলি চলেছে তিনবার। বিগত ৪২ বছরে নাকি এমন কাণ্ড ঘটেনি। চিন আর লাদাখের ঝামেলাতো কমছেই না উল্টে দুপক্ষের লড়াইয়ে লাদাখে আরো সেনা বাড়ানোর প্রস্তুতি সারা হচ্ছে। শীতকালেও পূর্ব লাদাখে এবার সেনা পাহারা থাকবে, তার জন্য দেওয়া হবে সব রকম সুবিধা। শীত বস্ত্র, খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিস লাদাখের বিভিন্ন সেনা শিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সেনা।
অস্ত্রর পাশাপাশি সব রকম ব্যবস্থা করছে ভারতীয় সেনারা। শত্রুপক্ষকে একেবারেই কম চোখে দেখছে না ভারতীয় সেনারা। তাই অস্ত্র ছাড়া ইতিমধ্যে চিনুক হেলিকপ্টারে খাবার-দাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস সেনা শিবিরে পৌঁছতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে দুপক্ষের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।শোনা যাচ্ছে, ফায়ারিং পিন থেকে শুরু করে ইঞ্জিন, সব কিছু পরীক্ষার পর বোফোর্স নিয়ে যাওয়া হবে লাদাখের সীমান্তে।
তবে চিনা সেনা আবারও ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।তাই সেখানে আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে সেনা সংখ্যা। আর তাই ফরোয়ার্ড লোকেশনে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা। সি-১৭, আইএল-৭৬ এয়ারক্রাফট মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্যাঙ্গন লেকের চারপাশে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কড়া পাহারা থাকার কারণে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে ব্যর্থ হয় চিন। এরপরেই ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে নিজেদের অংশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় চিনা সেনারা।
মে মাস থেকে দখল করে রাখা ফিংগার-ফোরে মঙ্গলবার প্রবেশ করে চিনা সেনারা। মোটর বোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতর প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদের তাড়া করে ভারতীয় সেনারা আর এই ঘটনার পরেই পাত তারি গুটিয়ে নিজেদের এড়িয়ায় পাড়ি দেয় চিন সেনারা। আর এই নিয়ে এখন দু দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে। প্যাংগংয়ের উত্তরের এলাকা মোট ৮টি জায়গা রয়েছে সেখানে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এতদিন টহল দিত ভারত। আর এখন ফিঙ্গার ফাইভ পর্যন্ত এগিয়ে এসে ভারতীয় বাহিনীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে চিন। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে প্যাংগং লেকের উত্তরে ভারত চিন দুপক্ষই ১০০-২০০ রাউন্ড ওয়ার্নিং শর্ট ছুড়েছিল।