গত কয়েক বছরে ভারতীয় রেল নিজেদের পরিষেবায় অনেকটা বদল ঘটিয়েছে। বর্তমান সময়ে সাধারণ রেলযাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণ সহজ হয় তার জন্য লাগাতার লাজ করেই চলেছ রেল। রেল শুধু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো আধুনিক ও দ্রুতগতির ট্রেনই চালু করেনি, বরং হাজার হাজার রেল স্টেশনের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারন করেছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসও চালু করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে বুলেট ট্রেনকেও ছুটতে দেখা যাবে।
প্রস্তুত রয়েছে বন্দে মেট্রো
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন পরিদর্শন করেন। এর পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে বন্দে মেট্রোও বলে জানানো হয়। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে, এখন ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে যাতায়াতের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল। এর জন্য টেন্ডারও দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেল মন্ত্রক দুটি ট্রেন সেটের নকশা ও উৎপাদনের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে এই ট্রেন। চলতি বছরের জুন মাসে ভারতীয় রেল চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিকে (আইসিএফ) ৮টি কোচ সহ দুটি স্ট্যান্ডার্ড গেজ ট্রেন সেট রেক তৈরির জন্য চিঠি লিখেছিল।
সর্বোচ্চ গতি হতে হবে ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রেনের সেটটি স্টিলের তৈরি হতে হবে। এছাড়া এর সর্বোচ্চ গতি হতে হবে ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় এবং রানিং স্পিড হতে হবে ২২০ কিমি প্রতি ঘন্টা। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এখানে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ভ্রমণ ক্লাস রয়েছে। সেখানে বন্দে ভারতে অনেক আধুনিক সুবিধা আছে। এই ট্রেনটি যাত্রীদের সম্পূর্ণ নতুন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিইএমএলের বেঙ্গালুরু রেল কমপ্লেক্সে ভারতের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন পরিদর্শন করেন। এই ট্রেনটি অনেক বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এর মধ্যে রয়েছে ইউএসবি চার্জিং, রিডিং লাইট, ডিসপ্লে প্যানেল, সিকিউরিটি ক্যামেরা, মডিউলার প্যান্ট্রি এবং আধুনিক টয়লেট। প্রথম এসি গাড়িতেও স্নান করতে পারবেন।
ভারত এক্সপ্রেসের আপগ্রেড ভার্সন
বন্দে ইন্ডিয়া স্লিপার দীর্ঘ পথে চালানো হবে, তাই যাত্রীদের প্রতিটি সুবিধার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আপগ্রেড ভার্সন। এছাড়াও এতে আর্মার সহ আরও অনেক নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। এর গতিবেগও হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর ভারতীয় রেল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতির ট্রেন আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।