ভারতীয় রেল হলো ভারতের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত যাত্রার মাধ্যম। এই রেলের মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন প্রচুর জায়গায় যেতে পারবেন। সবথেকে বড় কথা হলো এই ভারতীয় রেল ভারতের যেকোনো জায়গার সাথে কানেক্ট করতে পারে আপনাকে। এই রেল ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে আপনি সহজেই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর অবধি যেতে পারবেন। সহজেই আপনি কলকাতা থেকে চেন্নাই যেতে পারবেন এক ট্রেনে। তার সাথেই আপনি পাবেন প্রাকৃতিক কিছু মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অনুভূতি যা আপনার মনকে আরো বেশি উৎফুল্ল করে তুলবে। এছাড়াও এক ট্রেন যাত্রা এতটাই বেশি আরামদায়ক যে আপনাকে ট্রেনে উঠে আর বেশি চিন্তা করতে হয়না। তবে, ট্রেনে একটা অসুবিধা আছে। সেটা হলো ট্রেনে টিকিট পাওয়া খুব একটা সহজ না।
অনেকেই আছেন, যারা প্রতিদিন ট্রেনে যাত্রা করেন। তাদেরকে নিজেদের পছন্দের আসন বুক করার জন্য ১ মাস আগে থেকে অপেক্ষা করে থাকতে হয়। লোয়ার বার্থ বা সাইড লোয়ার ট্রেনের সবথেকে আরামদায়ক সিট। তবে, এখন থেকে কিন্তু আর এই বার্থ আপনি নিজের জন্য বুক করতে পারবেন না। সম্প্রতি রেল একটি নতুন নিয়ম জারি করেছে, যার কারণে সিট রিজার্ভ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সিস্টেমের ব্যাপারে।
এবার থেকে নিচের সিট পাবেন মূলত বয়স্ক, একা ভ্রমণকারী মহিলা ও বাচ্চাদের অভিভাবকরা। এদেরকেই এই লোয়ার সিটের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে রেল। এছাড়াও, যারা দিব্যাঙ্গজন আছে, এবং তাদের সঙ্গীরা এই আসন পেতে পারবেন আরো সহজে। রেলওয়ে বোর্ড নির্ধারণ করেছে যে স্লিপার ক্লাসের চারটি আসন যার মধ্যে দুটি নিম্ন এবং দুটি মধ্যম আসন, দুটি তৃতীয় শ্রেণির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের আসন যার মধ্যে একটি নিম্ন ও একটি মধ্যম আসন এই যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, প্রতিবন্ধীদের ৪টি আলাদা গোষ্ঠী রেলওয়েতে কম ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অন্ধ, প্যারাপ্লেজিক, অর্থোপেডিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং মানসিকভাবে প্রতিবন্ধীরা রেলওয়েতে কম ভাড়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এর রেলে একা বা সঙ্গীর সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও, ৬০ বছরের বেশি পুরুষ এবং ৪৫ বছরের বেশি মহিলা এই ধরনের আসনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। তাই এই সিট বুক করতে হলে, আপনাকে এই ওয়েবসাইটে লোয়ার বার্থ বুকিং করার সময় সিলেক্ট করতে হবে।