রেল যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। এখন আপনার ট্রেন ভ্রমণ আরও আনন্দদায়ক হবে। স্টেশন ও ট্রেন পরিষ্কার রাখতে এক অসাধারণ পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে রেল। করোনার সময় কঠোরতা সত্ত্বেও রেলওয়ে স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মে বা কোনো পাবলিক প্লেসে মানুষের থুতু ফেলার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। কিন্তু এখন এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে এক অভিনব উপায় বের করেছে রেল। আসুন জেনে নেই রেলওয়ের এই প্ল্যান সম্পর্কে।
স্টেশন এবং প্ল্যাটফর্মে মানুষের এই অভ্যাস রোধ করতে রেল একটি অনন্য উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেলওয়ে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রতি বছর ভারতীয় রেলওয়ে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে পান এবং তামাক ব্যবহারকারীদের থুথু দিয়ে তৈরি দাগ তুলতে এবং স্টেশন ও ট্রেন কম্পার্টমেন্ট পরিষ্কার করতে। অর্থাৎ একটি বদ অভ্যাসের কারণে ১২০০ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয়ভাবে খরচ হয়। এই খরচ বাঁচানোর জন্যই এবারে নতুন পদ্ধতি নিতে চলেছে রেল।
এখন প্রতি বছর ১২০০ কোটি টাকা সেভ করতে রেল একটি দুর্দান্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর অধীনে, রেল চত্বরে যাত্রীদের থুথু ফেলা ঠেকাতে ৪২টি স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিন এবং কিয়স্ক স্থাপন করা হবে। পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, রেলওয়ের এই ভেন্ডিং মেশিনে ৫ এবং ১০ টাকা পর্যন্ত স্পিটুন পাউচ দেওয়া হবে। অনেক জায়গায় এই সুবিধা শুরুও হয়েছে।
এখন প্রশ্নটা হলো, কিভাবে এই পাউচ কাজ করবে?
রেলওয়ের ৩টি জোন – পশ্চিম, উত্তর এবং মধ্য রেলওয়ে নাগপুরের একটি স্টার্টআপ ইজিপিস্টকে এর জন্য একটি চুক্তি দিয়েছে। এই বিশেষ থলির বিশেষত্ব হল, যে কোনও ব্যক্তি সহজেই এটি তার পকেটে রাখতে পারেন। এই পাউচগুলির সাহায্যে, যাত্রী কোনও দাগ ছাড়াই যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় থুথু ফেলতে পারে। অর্থাৎ এখন আর ১২০০ কোটি টাকা নষ্ট হবে না রেলের।
কিভাবে এই থলি কাজ করে?
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই বায়োডিগ্রেডেবল পাউচগুলি ১৫-২০ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। আসলে, এটি থুতুকে শক্ত পদার্থে পরিণত করে। একবার সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হলে, এই থলি মাটিতে ফেলে দিতে পারেন আপনি। তারপরে এই থলিটি সম্পূর্ণরূপে মাটিতে মিশে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ দূষণের আশঙ্কা থেকেও সম্পূর্ণ রেহাই। আপনাদের জানিয়ে রাখি, নাগপুরের স্টার্টআপ কোম্পানিটি ভারতের একাধিক স্টেশনে এই ভেন্ডিং মেশিনগুলি ইনস্টল করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই, নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং ঔরঙ্গাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি করেছে এই কোম্পানিটি। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে, খুব শীঘ্রই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।