শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ভালোবাসা কোন সীমানা মানেনা। বয়স, সময় কিছুই দেখে আসে না। ভালোবাসা এলে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন দুকূল ছাপিয়ে মনের মধ্যে আছড়ে পড়ে। ঠিক এমনটাই হয়েছে রাশিয়ার এক দম্পতির ক্ষেত্রে। রাশিয়ার ক্রাসনোদার ক্রাইয়ের এক বাসিন্দা মারিনা বালমাসেবা। পেশায় তিনি একজন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার। দশ বছর ধরে তিনি সংসার করছিলেন অ্যারের সঙ্গে। তাদের চারটি দত্তক সন্তান রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ করেই মারিনার কাছে ভালবাসার সমীকরণটা খানিকটা বদলে যায়। এতদিন সংসার করার পর তিনি বুঝতে পারেন তিনি এখনো মনের মানুষ খুঁজে পাননি।
অবশেষে মারিনার জীবনে সেই মনের মানুষ আসে। সে আর কেউ নয়, প্রথম পক্ষের অ্যারের ছেলে ভ্লাদিমির। শুধু তাই নয়, ভ্লাদিমির এর সন্তান বহন করছেন মারিনা। সম্পর্কের সমীকরণ এর দিক থেকে দেখতে গেলে ভ্লাদিমির এখন তার ভাইদের সৎ বাবা হয়ে গেছেন।
শুধু ভালোবাসাটা নেই মারিনা বয়সে প্রায় ১৫ বছরের ছোট মেয়েকে বিয়ে করলেন। অ্যারের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পরই তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। কিছু সময়ের ব্যবধানে বিয়ের বিষয়টি ঠিক করলেও করোনার জন্য তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে কয়েক দিন আগে বিয়ে সম্পন্ন হয়। একবিংশ শতকে এই ঘটনা শুনে অনেকেই ভুরু কুচকাবেন, হয়তো রাগ দেখাবেন কিন্তু ‘Everything is fair in love and war’ একথা যুগে যুগে তার সত্যতাকে প্রমাণ করে এসেছে।