রাজীব ঘোষ: ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরমকে জেল খাটতে হচ্ছে, আর এসব তো কোন ছার।তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাকে জেলের মধ্যে থেকে দুর্গাপুজো দেখতে হবে।কেউ বাচাতে পারবে না।দিল্লি থেকে চেন্নাই গিয়ে সিবিআই চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করেছে।তাই দিল্লি থেকে কলকাতায় গিয়ে চোরেদের গ্রেফতার করতে সময় লাগবে না।টিকিট কাটা হয়ে গেছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।পূর্ব মেদিনীপুরের এক সভা থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দীঘা সফর করে এসেছেন।তারপরেই বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেচেদায় এক সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
দিলীপ আরও বলেন, আমি জঙ্গলমহলের ছেলে।ভয় পাই না।কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি বাপের ব্যাটা হন,আগে মেরে আসুন।কাউকে ক্ষমা করবেন না।আর সেটা যদি না করেন, তাহলে বিজেপি করবেন না।বিজেপি সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ,ছাপ্পা, রিগিং,সন্ত্রাস করে জিতেছে।লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ৪২ এ ৪২। উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হেরে গেল।তাদের সাংসদ সংখ্যা নেমে হলো ২২ ।হেরে যাওয়ার পর বলছেন ইভিএম নয়, ব্যালট চাই।বিজেপি ইভিএম আর ব্যালট যেভাবেই ভোট হোক, জয়লাভ করবে।মাওবাদী অধ্যুষিত সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে যান নি।জঙ্গলমহলে কোনো মাওবাদী সমস্যা নেই।তাহলে ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো হয়নি কেন?স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৈফিয়ত দিতে হবে।
তাই তিনি বৈঠকে যোগ দেননি।মমতা সবেতেই নাম পরিবর্তন করে চালাচ্ছেন।এভাবে টুকলি করে চলবে না।রাজ্যের মানুষ মমতার নাটক বুঝে গিয়েছেন।বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির ২২ হাজার নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলায় কেস দেওয়া হয়েছে।প্রায় তিন হাজার বিজেপি কর্মীরা রাজ্যে জেল খাটছেন। ৭২ জন বিজেপির নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।মানুষের চোখের জল বৃথা হতে দেবো না।কড়ায়-গন্ডায় হিসাব ফেরত দেবো।বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে আসা কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।রামনগর বিধানসভা,খেজুরি বিধানসভা এলাকা সহ অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় দিলীপ ঘোষ সভা করেন।
সেখানে তিনি বলেন, হুগলির তৃণমূল নেতা খুন হচ্ছে, আর আনিসুর রহমানকে কেস দিচ্ছে।আনিসুরের মতো বহু বিজেপি নেতা কর্মীদের পুলিশ মিথ্যা মামলায় কেস দিচ্ছে।বহু নেতাকে গাজা কেস দিয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ৩০২ মার্ডার কেসের আসামি নাকি আমি।যদি মার্ডার না করে মার্ডার কেসের আসামি হয়ে যাই,তাহলে পুলিশের ঘাড়ের উপরে পা তুলে পিষে মেরে ফেলবো।পার্লামেন্টে তৃণমূল সাংসদরা চোরের মতো বসে থাকে।ওরা ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা করেছে।সব দল তৃণমূলের থেকে সরে গেছে।রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করবে বলে দাবি করে