ভারতীয় রেল ১ জুন থেকে অতিরিক্ত ২০০ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করছে। এছাড়াও একইসঙ্গে চলবে ১ মে থেকে চলা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ও ১২ ই মে থেকে স্পেশাল এসি ট্রেন। এই নতুন ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকান্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-পুরী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-প্রয়াগরাজ প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস। অতিরিক্ত এই ট্রেনগুলির টিকিট বুকিং ইতিমধ্যে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে শুরু হয়েছে। খোলার ২ ঘন্টার মধ্যে, ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ টিকিট বুকিং করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ২-৩ দিনের মধ্যে আবারও টিকিট কাউন্টারে বুকিং শুরু হবে। বর্তমানে শুধুমাত্র অনলাইনে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা যাচ্ছে। জেনে নিন টিকিট বুকিংয়ের অন্যান্য নিয়মগুলো-
১) অতিরিক্ত ট্রেনগুলি সম্পূর্ণ এসি এবং নন এসি উভয় শ্রেণির ট্রেনের জন্য সংরক্ষিত ট্রেন থাকবে। জেনারেল (জিএস) কোচেরও বসার জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে। ট্রেনে কোনও অসংরক্ষিত কোচ থাকবে না। ভাড়া স্বাভাবিকের মতো ও সমস্ত যাত্রীদেরই আসনে বসার ব্যবস্থা করা হবে।
২) কেবলমাত্র অনলাইন ই-টিকিট আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করতে হবে। কোনও রেলওয়ে স্টেশনে রিজার্ভেশন কাউন্টারে কোনও টিকিট বুকিং করা হবে না।
৩) এআরপি (অগ্রিম সংরক্ষণের মেয়াদ) সর্বোচ্চ ৩০ দিন হতে হবে।
৪) আরএসি এবং ওয়েটলিস্ট প্রচলিত নিয়ম অনুসারে তৈরি করা হবে। তবে ওয়েটিং লিস্টের টিকিটধারীদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৫) কোন অসংরক্ষিত (ইউটিএস) টিকিট দেওয়া হবে না।
৬) এই ট্রেনগুলিতে কোনও তৎকাল ও প্রিমিয়াম তৎকাল বুকিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭) প্রথম চার্টটি নির্ধারিত ট্রেনযাত্রার কমপক্ষে ৪ ঘন্টা আগে প্রস্তুত করা হবে। দ্বিতীয় চার্টটি নির্ধারিত কমপক্ষে ২ ঘন্টা প্রস্তুত করা হবে।
৮) সমস্ত যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে স্ক্রিনিং করা হবে। কেবলমাত্র সুস্থ-স্বাভাবিক যাত্রীদের ট্রেনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।