দেশনিউজ

৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের মাস্ক পরাবেন? জানুন কেন্দ্রের নতুন পরামর্শ

নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ৫ বছরের কম বয়সী যারা আছে তাদের মাস্ক পরতে হবে না।

Advertisement

করোনা ভাইরাসের কোপের কারণে বর্তমানে সকলের মাস্ক পরা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং জরুরি। কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়স্ক যারা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা এবং তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এর ব্যাপারে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ৫ বছরের কম বয়সী যারা আছে তাদের মাস্ক পরতে হবে না। আর যারা ৬ থেকে ১১ বয়সী রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক কোন ব্যাপার নয়।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস জানিয়ে দিয়েছে, ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা কতটা সুরক্ষিত তা আগে জানার পর তবেই মাস্ক পরার নিয়ম জারি করবে কেন্দ্র। পুরো বিষয়টির ওপর অভিভাবকদের নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে ১২ বছরের বেশি যারা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা একেবারেই বাধ্যতামূলক।

এখন অনেক জায়গায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে যথেচ্ছভাবে সিটিস্ক্যান না করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডিজিএইচএস এর বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন বুকের সিটি স্ক্যান করার সময় যে বাড়তি তথ্য পাওয়া যায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেই তথ্যের প্রভাব কম থাকে। তাই দরকারমতো সিটিস্ক্যান করেন নতুবা সিটি স্ক্যান করতে হবে না। সকলের ক্ষেত্রে কখনোই সিটিস্ক্যানের পরামর্শ দেবেন না, যদি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে সিটিস্ক্যান দিতে হয় তাহলে অবশ্যই রোগীর পরিস্থিতি দেখে নেবেন।

তার সাথেই ১৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসা করার জন্য রেমডেসিভির ইনজেকশন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিজিএইচএস। তারা জানিয়েছে, কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে সবকিছু এখনো জানা যাচ্ছে না। তার পাশাপাশি উপসর্গহীন এবং স্বল্প উপসর্গের করণা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সবথেকে ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে স্টেরয়েড। তাই ডাক্তারদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করা হয়। যদি একান্তই স্টেরয়েড দিতে হয় তাহলে কিন্তু রোগীকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে ডাক্তারদের। বলাই বাহুল্য, স্টেরয়েড একবার গ্রহণ হয়ে গেলে অনেক সময় রোগী পরবর্তীতে নিজে স্টেরয়েড গ্রহণ করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে কিন্তু রোগীকে রোগীকে সতর্ক করা হয়েছে যেন কোন ভাবেই সে স্টেরয়েড গ্রহণ না করে।

Related Articles

Back to top button