‘তোমারা ভারতীয় তা দেখানোর সময় এসেছে’, রাহুল গান্ধী যুবকদের ‘সত্যাগ্রহ ধর্ণায়’ যোগ দেওয়ার আহ্বান
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজঘাটে ‘সত্যাগ্রহ ধর্ণায়’ দেশের ছাত্র ও যুবক সমাজকে তার সাথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সংবিধান ও মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ, রাজঘাটে আজ কংগ্রেস ‘সত্যাগ্রহ ধর্ণা’র ডাক দিয়েছে। এই ধর্ণায় রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অন্যান্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা যোগ দেবেন বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।
দেশের যুবসমাজকে এই আহ্বান জানিয়ে রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এই দুজনের দ্বারা দেশ জুড়ে ছড়ানো ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জরুরি ছিল। প্রিয় শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ, শুধু ভারতীয় হিসেবে গর্ব করলেই হবেনা, ভারতের এই প্রতিকুল পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে হবে। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ভারতবর্ষে ছড়ানো ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আজ বিকেল তিনটেয় আমার সাথে রাজঘাটে যোগ দিন।’
আরও পড়ুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কা কা ছি ছি’ স্লোগান, মমতাকে কটাক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল শনিবার বলেন, ‘সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা আগামী ২৩শে ডিসেম্বর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে একটি সত্যাগ্রহ গ্রহণ করবেন। অহিংসার পথের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে এবং বাবা সাহেবের পবিত্র সংবিধান রক্ষার জন্য লড়াই করবে কংগ্রেস।’ শনিবার সোনিয়া গান্ধী এবং অন্যান্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা একটি বৈঠক করে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে নীরব প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার দিল্লীর রামলীলা ময়দান থেকে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি এর নামে ‘বিভাজনের রাজনীতি’ চালানোর জন্য কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জনগণকে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য বিরোধীদের দোষারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ভারতীয় মুসলমানদের লক্ষ্য নয়।’