গতকাল গিয়েছিলেন ভবানীপুরে, এবারে পা রাখতে চলেছে অভিষেকের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবারে। রাজ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছেন। গত কাল ভবানীপুরের ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। আর আজকে অভিষেকের এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করার কথা তার।
সূত্রের খবর, এই সাংগঠনিক বৈঠক এ জেলা নেতৃত্ব দের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেপি নড্ডা। আলোচনা সভা হবে আগামী কর্মসূচি গুলিকে নিয়ে। সেখান থেকে তিনি সোজা গিয়ে পৌঁছলেন সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে। ডায়মন্ড হারবার এর অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা এটি। সেখানে গিয়ে দুপুরে পূজার ভোগ গ্রহণ করবেন জেপি।
তারপরে জন সম্পর্ক অভিযানে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তারপরে সোজাসুজি ডায়মন্ডহারবার গ্রাউন্ড স্টেশনে সাংবাদিক বৈঠকে যোগদান করবেন এবং সেখানে গিয়ে বিজেপির কর্মসূচি গুলিকে সাধারণের সামনে তুলে ধরবেন। এরপরে তার গন্তব্য থাকবে সোজা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে।
তবে ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি আসার আগে সরগরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সকাল সকাল ফ্লেক্স লাগানো নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, ডায়মন্ড হারবারের টাউন সভাপতিকে ফ্লেক্স লাগানোর সময় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবারে পা রাখতে চলেছে জেপি নড্ডা। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির ডায়মন্ড হারবারে আসার আগে এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক পারদ চরমে তুলেছে।
সকলের এখন চোখ একটাই দিকে, তিনি ডায়মন্ড হারবার থেকে কি বার্তা দেন। দুদিনের সফরে বাংলা এসেছেন জেপি নড্ডা। বুধবার হেস্টিংস এর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে যাবার সময় শাসক দলের কর্মীরা তার উদ্দেশ্যে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। তারপর তিনি হেস্টিংস এ শাসকদলের বিরুদ্ধে একেরপর এক তোপ দাগতে শুরু করেন। তৃণমূলকে উৎখাত করে বিজেপি ২০০ এর বেশি আসনে জয়লাভ করবে এই মন্তব্য তিনি করেছেন। এরপর সোজা গৃহ সম্পর্ক অভিযান নিয়ে সরাসরি পৌঁছে যান মমতার খাস তালুক ভবানীপুরে। তবে ওরকম ঘিঞ্জি এলাকায় তার সভা কিরে সৃষ্টি হয় উত্তেজক পরিস্থিতি।
সেখানে গিয়ে দুটি বাড়িতে বিজেপির আর নয় অন্যায় কর্মসূচির লিফলেট বিলি করেন তিনি। তবে এলাকার মানুষের অভিযোগ, এত ভিড় থাকার কারণে তারা নিজেদের এলাকার কোন সমস্যা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানাতে পারেননি।