এইদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সমস্ত রিপোর্ট প্রদান করেন তিনি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার বিকেলে হয় দুইজনের সাক্ষাৎ। রাজ্যপালকে ডেকে পাঠিয়ে শাহ তার কাছ থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং বাকি বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের কার্যকলাপ নিয়ে অমিত শাহর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জগদীপ ধনখড়। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা সেরে বেরিয়ে এসে টুইট করে জানান ধনখড়।
নতুন বছরের শুরুতেই বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট জানতে চেয়ে রাজ্যপালকে দিল্লিতে তলব করেছিলেন অমিত শাহ(Amit Shah)। শুক্রবার রাতেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করার আগে তিনি যান বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের বাড়ি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাদের মধ্যে। যাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উসকে ওঠে জল্পনা। তারপর আগের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি বৈঠক করেন শাহের সাথে।
এইদিন শাহের সাথে দেখা করার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ধনখড় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। জানান যে, বাংলার রাজ্যপাল বলেই কোনও রাজনৈতিক দল ঘেঁষা নন। তিনি বলেন,”কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনও সমর্থন নেই আমার। কোনও রাজনৈতিক দল কি করেছে তা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। আমি কেবল রাজ্যের নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা আর রাজ্যবাসীর সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়েই চিন্তিত।” সাংবাদিক প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এই নিয়েই তিনি বারবার রাজ্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে চাইছেন। রাজ্যপালকে “বিজেপির মুখপত্র” বলে বারবার শাসক শিবিরের তরফে যে অভিযোগ ওঠে, তা খণ্ডন করতেই ধনখড়ের এহেন বক্তব্য বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ে যে তিনি কতখানি হতাশ, তা ফের দিল্লি থেকে সাংবাদিকদের জানালেন বাংলার রাজ্যপাল। বুধবার তাঁর সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাও জানিয়েছেন ধনখড়। বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লি গিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপালের রিপোর্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর উপর নির্ভর করবে পরবর্তীতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ।