১৩ টি অস্ত্রপ্রচার জাকির হোসেনের দেহতে, তদন্তকারীদের অনুমান উন্নতমানের IED ব্যবহার হয়েছিল

রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain) এখন আপাতত বিপদসীমার বাইরে আছে। তার শরীর থেকে বিস্ফোরক বের করার জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে মোট ১৩ টি অস্ত্রপ্রচার হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।…

Avatar

রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain) এখন আপাতত বিপদসীমার বাইরে আছে। তার শরীর থেকে বিস্ফোরক বের করার জন্য ছোট বড় সব মিলিয়ে মোট ১৩ টি অস্ত্রপ্রচার হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা মনে করছি যে বেশ কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে তাকে। এরপর রবিবার বিকেলে বা সোমবার প্লাস্টিক সার্জারি হতে পারে। বিস্ফোরণে আহত বাকিদের অস্ত্রপ্রচার হবে আজ এবং আগামীকাল। পরবর্তীকালে তাদের প্রত্যেকের প্লাস্টিক সার্জারি হতে পারে। এছাড়া অন্য দিকে ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণকাণ্ডে আসল সত্য জানতে কাজ শুরু করে দিয়েছে তদন্তকারী দল।

বঙ্গ রাজনীতিতে এখন খবরের শিরোনামে জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা। কে বা কারা এ ঘৃণ্য কাজ করলো তা নিয়ে রীতিমতো রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এরইমধ্যে তদন্তকারীদের ধারণা যে মুর্শিদাবাদ নিমতিতায় কোন সাধারণ দেশী মানের বোমা ব্যবহার করা হয়নি। বরং বিস্ফোরণ করা হয়েছিল উন্নত মানের আইইডি দিয়ে। সেই নিয়ে আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষন তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি ও কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বাহিনী। তারা গোটা স্টেশন চত্বর পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা রেললাইনের ওপর একটি বাইকের ব্যাটারি উদ্ধার করে। এছাড়া বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি লোহার পাত পায় তারা। এরপর তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা যে গত বুধবার রাতে মন্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছিল উন্নত মানের রিমোট বোমার মাধ্যমে।

এছাড়াও গতকাল সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনার সময় কার একটি ভিডিও ফুটেজ স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে জোগাড় করে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যখন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন স্টেশন দিয়ে হাঁটছেন তখন তাকে কেউ একটা সাবধান করছে যে তার সামনে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে আছে। সেই ব্যাগকে মন্ত্রীর এক অনুগামী সরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক ধারণা। এরপর ফরেনসিক আধিকারিকরা ওই ফুটেছে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যায় নাকি তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে।