পড়শী রাজ্যের পুরভোটের আগে রবিবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এরপর রাতে ত্রিপুরা যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যনার্জি। কোভিড বিধির কারণ দেখিয়ে ত্রিপুরা সরকার জানিয়ে দিয়েছিল ত্রিপুরায় এলেও এখনই কোনো মিছিল করতে পারবেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পথসভা করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তাই সোমবার অর্থাৎ আজ সকালেই ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগরতলায় পা রাখতেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বললেন, ‘আগরতলা বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে, এখানে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রত্যেকবারই এখানে তাঁদের সভা আটকানো হয়। ত্রিপুরায় মহিলাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। মহিলা প্রার্থীদের উপর বারংবার আক্রমণ করা হচ্ছে। স্লোগান দেওয়ার জন্য যদি সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকেও কেন গ্রেফতার করা হবে না? নরেন্দ্র মোদীও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে গিয়ে খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিলেন।’
অন্যদিকে সোমবার আগরতলা বিমানবন্দরের অভিষেক আর ব্রাত্য বসু পৌছাতে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব স্কোয়াড। এই বিষয়ে অভিষেক এদিন বলেন, ‘ধমকে, চমকে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে থামিয়ে রাখা যাবে না। সিপিএম-কংগ্রেসের মতো তারা চুপচাপ বসে থাকবেনা। এখানে এসে তিনি শুনলেব কী একটা ব্যাগ ধরা পড়েছে। বিপ্লব দেবের কাছে তাঁর আবেদন, আপনি আগরতলার সাধারণ মানুষকে কেন কষ্ট দিতে চান। তিনি আছেন এখানে তাঁকে বলুন’।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদযাত্রার অনুমতি না দিলেও ত্রিপুরায় পথসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর সোমবার সকালে তৃণমূলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ত্রিপুরা সরকারের দেওয়া একটি প্রশাসনিক চিঠি টুইট করেন। তাতে ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির জন্য পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়া হলেও তৃণমূল পথ সভা করতে পারে। আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে, তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার সকালে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে অভিষেকের সাথে রওনা দিলেন ব্রাত্য বসু । এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সরাসরি বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করলেন তিনি। সাংবাদিকদের বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি। কলকাতা বিমানবন্দরে সোমবার সকালে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ত্রিপুরার সরকার ওরা ভয় পাচ্ছে। অভিষেক যখনই পড়শী রাজ্যের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছে, তখন ওখানে বিপ্লব দেবের ঝটিকা বাহিনী আক্রমণ করছে। বিজেপি আক্রমণ করে মারছে তৃণমূলকে তাই ভুয়ো কেস দিচ্ছে।