বিনোদনবাংলা সিরিয়াল

৮৬ বছর বয়সেও একেবারে ফিট মিতা চ্যাটার্জী, শুধু একটা জিনিসেই লোভ অভিনেত্রীর, জানুন কী

Advertisement

মিতা চ্যাটার্জী বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন কালজয়ী শিল্পী। ১৯৪৪ সাল থেকে পুরোদমে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় তার নাম বেরিয়েছিল কাগজেও। এই কারণবশত সকলেই তাকে প্রচুর ভালোবাসা জানিয়েছিলেন। পাড়ার লোকেরাও আদরযত্ন করেছিলেন তার। একথা অবশ্য এই কালজয়ী শিল্পীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ১’এর একটি পুরনো এপিসোডের দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে যেখানে মিতা চ্যাটার্জীর সাথে কথা বলতে শোনা গিয়েছে রচনা ব্যানার্জীকে।

সেই ভিডিওতে অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন, নাচ দিয়েই শুরু তার। কিছুটা নামডাক হওয়ার পরেই বাবার এক বন্ধুর সূত্রে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সেইসময় অল ইন্ডিয়া ডান্স কম্পিটিশনে প্রতিবছর প্রথম স্থান অধিকার করতেন অভিনেত্রী। কথায় কথায় অভিনেত্রী জানান, শারীরিক কিছু ফ্র্যাকচারের কারণে তার নাচ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি ঘোড়া চালানো, রাইফেল চালানো, এনসিসি করা মেয়ে। তবে এখন তিনি ভালোভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। তবে ভালো কাজ করার ইচ্ছা থেকেই এখনো নিজের প্রাণবন্ততা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী।

‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জীর সাথে কথা বলতে বলতে অভিনেত্রী জানান তার বর্তমান বয়স
৮৬ বছর। তবে এই বয়সেও তিনি নাচের প্রতিটা তাল মনে রেখেছেন। তাকে দেখে বোঝা মুশকিল তার বয়সের গণ্ডি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রবাদপ্রতিম কিংবদন্তি ছবি বিশ্বাসের সাথে কাজ করেছেন তিনি। এই মঞ্চে তাঁর সাথে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। নাচ, অভিনয়, যাত্রা, নাটক সবকিছুই করেছেন একসময়। তবে বর্তমানে সেভাবে অভিনয়জগতে দেখা মেলে না তার।

কথায় কথায় রচনা ব্যানার্জী অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন তার খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রিত কিনা! এর উত্তরে তিনি জানান তিনি ভাত-রুটি সবই খান। তবে ডাঁসা পেয়ারা দেখলে তিনি লোভ সামলে রাখতে পারেন না। তিনি বলেন, তার উত্তর-দক্ষিণ দুই ফাঁকা অর্থাৎ দাঁত পড়ে গিয়েছে। আর এই কারণবশতই ডাঁসা পেয়ারা তিনি খেতে পারেন না, আর সেটাই তার সবথেকে বড় দুঃখ। অভিনেত্রীর এই কথা শুনে রীতিমতো হেসে ফেলেন সকলেই। উল্লেখ্য, এদিনের এপিসোডে অনুসূয়া মজুমদার, হৈমন্তী শুক্লার মত কৃতি মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button