একুশে নির্বাচনের আগে তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবির থেকে যেন জল্পনার কোন শেষ হচ্ছে না। আজ ফের নয়া জল্পনায় জোরালো আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। দলবদলের জল্পনায় কিছুদিন আগে থাকতেই নাম তুলেছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যখন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শাসকদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তখনই জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তোলেন। তখনই জিতেন্দ্র বাবু তার তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দেয়। অবশ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেয়, “আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে।”
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে থাকছেন এমন জানিয়ে তিনি টুইট করেন। টুইটে লিখেছিলেন, “আমি দিদির সাথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।” কিন্তু এত কিছুর পরও তাহলে কেন আবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হলো? ব্যাপারটা গতকালের। কলকাতার বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারা হোটেলে নির্বাচনী রণনীতি নিয়ে বৈঠক করছিল গেরুয়া শিবির। আর ঠিক সেই সময়েই জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তার পরিবারের সমস্ত লোকজনকে ওই পাঁচ তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে আসছে দেখা যায়। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কি আবার বিজেপি শিবিরের দিকে ঝুকলো?
এর আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল ছেড়ে দেবো বললে হঠাৎই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও অগ্নিমিত্রা পাল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বিজেপিতে নেয়া হবে না বলে কটাক্ষ করেছিলেন। অবশ্য তার ফল ভুগতে হয় তাদের। তাদের নামে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বরা। তারপর জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে থাকবে বলে ঘোষণা করে দেয়। তারপর থেকে ১১ দিন ঘরবন্দি ছিল এই আসানসোলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। তবে গত শনিবার তাকে এক অরাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে দেখা গিয়েছিল। তারপর আবার শাসকদল এখনই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তার কোন পদ ফিরিয়ে দিতে চায় না। ফলে বিজেপির বৈঠক চলা হোটেল থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তার স্ত্রী কন্যাকে বেরোতে দেখে সবাই ভেবে নিয়েছিল তাহলে এবার হয়তো সত্যি দলবদল করবেন জিতেন্দ্রবাবু।
অবশ্য জিতেন্দ্রবাবু জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ব্যাপারটা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। আমি কলকাতায় এসেছিলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে বৈঠক করার জন্য। শীঘ্রই দলের কাজে ফিরবো। ওই হোটেলে পরিবারের সাথে আমি এমনি খেতে গিয়েছিলাম।” অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “আমাদের দলের বৈঠকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। উনি আমাদের দলের কেউ নন। কেন এসেছিলেন বা কোথায় এসেছিলেন আমাদের জানার দরকার নেই।”