শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে পড়ুয়াদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে বা বলা ভাল ব্রেন ওয়াশ করে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি সেরকমই এক জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে ১৩ পড়ুয়া। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাও আবার কড়া পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে। পুলিশি নিয়ম অনুযায়ী পিএসএ আইনের আওতায় কাউকে সর্বাধিক দু’বছর আটক করে রাখা যায়। আর এই আইনের আয়তায ওই তিন মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশদের এবং গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল যে, ওই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা জঙ্গি দলে যোগ দিতে চলেছে। আর সেই মতই মাদ্রাসার ওপর নজর রাখা হয়। আর তার ফলেই তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান, অনন্তনাগ এবং কুলগামের বেশ কিছু পড়ুয়া এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। আর এই তিন জেলাতেই জঙ্গিদের উপদ্রব বেশি। এমনকি এখান থেকেই পড়ুয়াদের ব্রেন ওয়াশ করে জঙ্গি দলে যোগদান করানো হয়।
এই বিষয়ে কাশ্মীর জোনের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ‘এই মাদ্রাসাটি চালায় কাশ্মীরে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি। যে তিন শিক্ষকের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের নাম হল আব্দুল বাট, মহম্মদ ইউসুফ ওয়ামি ও রউফ বাট।’ এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।