Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

রাজ্যের কলেজে প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগ, নূন্যতম যোগ্যতায় করতে পারবেন আবেদন

Updated :  Thursday, July 21, 2022 9:43 PM

বিদ্যালয় হল গিয়ে যে কোনো মানুষের শিক্ষার প্রথম ধাপ। স্কুল-কলেজ কিংবা যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে যেরকম প্রয়োজন হয় উপযুক্ত শিক্ষকের, তেমনি কিন্তু প্রয়োজন হয় উপযুক্ত অশিক্ষক কর্মীর। সাম্প্রতিক এসএসসি এবং প্রাইমারিতে একের পর এক দুর্নীতির পর চাকরি নিয়ে জর্জরিত বর্তমান তৃণমূল সরকার। এর জেরে রাজ্য শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় প্রক্রিয়া কার্যত লাটে উঠেছে বিগত কয়েক বছরে। যার ফলশ্বরূপ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার কারণে রাজ্যের প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদের শূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে সাথেই বেড়েছে স্কুল এবং কলেজে অশিক্ষক কর্মীর অভাব।

তাই এবার এই সমস্ত বিতর্ককে গুরুত্ব না দিয়ে একাধিক কলেজে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্যের একাধিক কলেজে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। বিগত কয়েক বছর যাবত কলেজে কলেজে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় শূন্য পদের তালিকাটা এই মুহূর্তে বেশ লম্বা। এই অবস্থায় কলেজগুলিতে পঠন-পাঠনের পাশাপাশি গোটা শিক্ষাব্যবস্থার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চালাতে প্রচুর পরিমাণ অশিক্ষক কর্মীর প্রয়োজন।

এ বিষয়ে প্রথম অবস্থায় উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজ্যের একাধিক কলেজে গিয়ে প্রয়োজনীয় অশিক্ষক কর্মীদের একটি তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে। অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে যে বিভাগের কর্মী বর্তমানে প্রয়োজন সব থেকে বেশি তার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, হেডক্লার্ক এবং একাউন্টেন্ট। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই উল্লেখিত শূন্য পদ পূরণের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন।

তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন পত্র চাওয়া হবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে। তারপরে পদ অনুযায়ী যোগ্যতার মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে উল্লেখিত শূন্য পদে। শূন্য পদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সফল এবং যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে লিখিত পরীক্ষা এবং তারপর ইন্টারভিউ এবং সবশেষে প্রাসঙ্গিক কাজে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিচার করে শেষে প্রার্থীর জমা দেওয়া নথিপত্র ভেরিফিকেশন করার পরেই প্রাচীর হাতে চাকরি তুলে দেওয়া হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা এবং তারপর ১৫ নম্বরের ইন্টারভিউ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আবেদনকারী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়নের ভিত্তিতে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ফলে এই সিদ্ধান্ত যে রাজ্যের বেকার কর্মপ্রার্থীদের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ হতে চলেছে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।