সারা দেশ জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সেটা হল, করোনা নামক এই মারণরোগ নির্মূল করার জন্য কবে ভ্যাকসিন আসবে বাজারে? এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভারত, রাশিয়া, চিন এবং আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা। এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে ট্রায়ালে সফল হয়ে বাজারে আসতে পারেনি। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। কারণ, এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। যার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। যদিও পরবর্তীকালে ব্রিটেন এবং ভারতে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তবে এবার এই একই কারণে জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যার ফলে ট্রায়াল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, তৃতীয় পর্যায়ে লার্জ স্কেল ট্রায়াল চলছিল। কিন্তু আচমকাই স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তৃতীয় পর্যায়ে গিয়ে এই অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতা যে বড় ধাক্কা তা মেনে নিয়েছে সংস্থাটি। তৃতীয় পর্যায়ের সবরকম ক্লিনিকাল ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কেন সেই স্বেচ্ছাসবকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল, তা আগে খতিয়ে দেখা হবে।
এই স্বেচ্ছাসেবকের শরীরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কারণ এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ না অন্য কোনও শরীরে অসুস্থতা আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যতদিন না সঠিক তথ্য জানা যাবে, ততদিন পর্যন্ত কোনও ঝুঁকি নেওয়া হবে না। ট্রায়াল আপাতত বন্ধ থাকবে। এর ফলে আরও একবার করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার ক্ষেত্রে ধাক্কা খেল, এমনটা বলাই যায়।